প্রতীকী ছবি।
ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলেন। আপাত ভাবে আনন্দের হলেও বিষয়টিতে এই মুহূর্তে ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই প্রশাসনিক স্তরে খোঁজখবর করাও শুরু হল।
মঙ্গলবার লকডাউনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা ২০১ জন বসিরহাটবাসী তাঁদের বাড়িতে ফিরলেন। আর বুধবারই তাঁদের সম্বন্ধে খোঁজখবর করতে এলাকায় চলে এল প্রশাসনিক দল।
ওই শ্রমিকদের খোঁজ নেওয়া তো বটেই, পাশাপাশি এলাকার সার্বিক করোনা-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এ দিন প্রশাসনিক দলটি যায় বলে জানা গিয়েছে। দলের প্রতিনিধিবর্গ বিভিন্ন দফতর এবং স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। বৈঠকও করলেন জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী, মহকুমাশাসক বিবেক ভাসমে, উত্তর ২৪ পরগনার করোনা সম্পর্কিত দায়িত্বে থাকা সচিব সঞ্জয় থাড়ে এবং জেলার পুলিশসুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই। জেলাশাসক করোনা সচেতনতায় আধিকারিকদের রাস্তায় নেমে কাজ করতে বললেন।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে বসিরহাটে আসেন জেলাশাসক, উত্তর ২৪ পরগনার দায়িত্বে থাকা করোনা সম্পর্কিত সচিব। তাঁরা জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, উপ মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক, জেলা হাসপাতাল সুপার, মহকুমার সমস্ত ব্লক আধিকারিক এবং বসিরহাটের পুরপ্রধান প্রমুখের সঙ্গে বৈঠক করেন। ব্লক ধরে ধরে জেলাশাসক করোনা রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন। সর্বত্র শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই সচেতনতার প্রচার চালিয়ে যেতে বলেন। দরকারে মাস্ক, স্যানিটাইজার বিতরণও করা হবে। জেলাশাসক পরে অন্যান্য মহকুমার আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন।
এর পর তাঁরা যান মেরুদন্ডিতে। সেখানে কোয়রেনন্টাইন সেন্টার ঘুরে যান ঘোজাডাঙা সীমান্তে। সেখানে বিএসএফ, ‘ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’, শুল্ক দফতরের আধিকারদের সঙ্গে বৈঠকে সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে জানানো হয়, সীমান্তে দু’দেশ মিলিয়ে ১৫০০ ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। ওই সব ট্রাকের বেশির ভাগ চালক, খালাসি নিরাপদ জায়গায় চলে গেলেও শতাধিক মানুষ এখনও সীমান্তে আছেন। সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষের সুবিধা-অসুবিধার বিষয় নিয়েও কথা হয়। কঙ্করপ্রসাদ বলেন, ‘‘বসিরহাটের বিভিন্ন গ্রামের যে সব মানুষ কাজ করতে গিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় আটকে ছিলেন তাঁরা নিজেদের বাড়ি ফিরেছেন। তাঁদের ১৪ দিন হোম কোয়রেন্টাইনে রাখা হয়েছে।’’ বসিরহাটের নিরাপত্তা বাড়াতে বিশেষ পদক্ষেপও করা হয়েছে বলে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘সিভিক ভলান্টিয়ার এবং ভিলেজ পুলিশ দিয়ে গ্রামে গ্রামে পিকেট বসানো হয়েছে। মোটরবাইক বাহিনী এবং মোবাইল আরটি-র ব্যবস্থার পাশাপাশি অফিসারদের দিয়ে বিষয়টির তত্ত্বাবধানও করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে কোনও ব্যক্তি আর গোপনে বাড়ি ফিরতে পারবেন না।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy