হাসনাবাদে। নিজস্ব চিত্র
হাজার নিষেধেও কাজ হচ্ছে না। অকারণে বাড়ি থেকে বেরনো বন্ধ করা যাচ্ছে না। ফলে বাড়ছে ঝুঁকি, সংক্রমণের আশঙ্কা। প্রথমদিকে পুলিশের ভয়ে অকারণে বাড়ি থেকে বেরনো বন্ধ হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ লাঠি ছেড়ে মাইকে প্রচার শুরু হওয়ায় নতুন করে শুরু হয়েছিল রাস্তায় ভিড়। প্রচারে কাজ না হওয়ায় ফের ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত দুই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে পাকড়াও করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসনাবাদ থানার পুলিশ সন্ধ্যার সোমবার রাতে টাকি থুবা মোড়, হাসনাবাদ সেতু এবং মুরারিশাহ এলাকা থেকে দশ জনকে গ্রেফতার করেছে। এরা অকারণ বাইরে ঘুরছিল, আড্ডা দিচ্ছিল। ন্যাজাট থানার পুলিশ সরবেড়িয়া এলাকা থেকে ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে সোমবার রাতেই। এদের কেউ রাস্তায় গা ঘেঁষাঘেষি করে বসে গল্প করছিল, কেউ আবার মোটরবাইক নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিল।
প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন, এবং সরকারি বিধি-নিষেধ লঙ্ঘন করার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। থানা থেকে সকলেই জামিন পেয়েছেন। কিন্তু তাদেরকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। সন্দেশখালি থানা এলাকা থেকেও গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বসিরহাট থানার পুলিশ ৩৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায় পুলিশ ৫২ জনকে গ্রেফতার করেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও মঙ্গলবারে অকারণে বাইরে বেরোনোয় অনেককে আটক করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কয়েকটি মোটরবাইক। একাধিক জায়গায় নাকা চেকিং করেছে পুলিশ। কড়াকড়ি উপেক্ষা করেই অযথা বাইরে বেরোচ্ছেন অনেকে। এ দিনও ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবা, ভাঙড়, ডায়মন্ড হারবারের বিভিন্ন বাজার সকালের দিকে উপচে পড়ে মানুষের ভিড়ে। তবে সকাল ১০টার পরে অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বাজারহাট। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে আবেদন করা হচ্ছে বারবার। তবে বাজার করতে আসা অনেকেই সেই নির্দেশিকা মানছেন না বলে অভিযোগ।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy