Advertisement
E-Paper

চলছে যশোর রোডে মরা ডাল কাটা

সাম্প্রতিক সময়ে যশোর রোডে গাছের শুকনো ডাল ভেঙে একাধিক ব্যক্তি জখম হয়েছেন। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। স্থানীয় কালুপুর, গাইঘাটা বাজার, চাঁদপাড়া, ন’হাটা মোড়, জলেশ্বর মোড় ও জয়ন্তীপুর এলাকায় জখম হয়েছেন মানুষ। জয়ন্তীপুরে গাছের ডাল ভেঙে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। সেই তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক ব্যক্তি মারাও যান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:০১
গাছ-কাটা: যশোর রোডে। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

গাছ-কাটা: যশোর রোডে। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

অবশেষে শুরু হল যশোর রোড বা ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে থাকা প্রাচীন গাছের মরা ও শুকনো ডালপালা কাটার কাজ। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে কাজটি করা হচ্ছে। ১৬ নভেম্বর থেকে ওই কাজ শুরু হয়েছে।

হাবড়া থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত মোট ১৬৩টি গাছ চিহ্নিত করা হয়েছে। সম্প্রতি বনগাঁর মহকুমা শাসক কাকলি মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত একটি কমিটির সদস্যেরা সরেজমিন পরীক্ষা করে গাছগুলি চিহ্নিত করেছেন। কমিটিতে জাতীয় সড়ক, বন দফতর, প্রশাসন ও পূর্ত দফতরের প্রতিনিধিরা ছিলেন। এত দিন মামলা ও নানা জটিলতার কারণে মরা ডাল কাটার কাজ বন্ধ ছিল। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ের কাজের জন্য ৫ লক্ষ টাকার টেন্ডার হয়েছে। এই কাজ শেষ হলে দ্বিতীয় পর্যায়ের টেন্ডার হবে। জাতীয় সড়কের (ডিভিশন ৫) নির্বাহী বাস্তুকার অজয়শঙ্কর কুন্ডু বলেন, ‘‘প্রথম পর্যায়ে গাইঘাটার বকচরা এলাকা থেকে চাঁদপাড়া পর্যন্ত ডাল কাটার কাজ শুরু হয়েছে।’’

সাম্প্রতিক সময়ে যশোর রোডে গাছের শুকনো ডাল ভেঙে একাধিক ব্যক্তি জখম হয়েছেন। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। স্থানীয় কালুপুর, গাইঘাটা বাজার, চাঁদপাড়া, ন’হাটা মোড়, জলেশ্বর মোড় ও জয়ন্তীপুর এলাকায় জখম হয়েছেন মানুষ। জয়ন্তীপুরে গাছের ডাল ভেঙে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। সেই তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক ব্যক্তি মারাও যান। প্রতিটি ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে থাকা মরা ও শুকনো ডাল কাটার দাবি তুলেছিলেন। ওই দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখিয়েছিলেন তাঁরা।

গাইঘাটা ও বনগাঁ থানার তরফেও মরা শুকনো ডাল চিহ্নিত করতে গাছের সমীক্ষা করা হয়েছিল। পুলিশের তরফেও প্রশাসনের কাছে ডাল কাটার আবেদন করা হয়েছিল।

ওই পথে নিয়মিত অটো চালান এমন এক অটোচালক জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি চালাতে হয় তাঁদের। ডাল কাটার কাজ শুরু হওয়ায় এখন নিজেদের নিরাপদ মনে হচ্ছে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই সড়কে যাত্রীসুরক্ষা বলে কিছু নেই।

স্থানীয় এক বৃক্ষপ্রেমী বাসুদেব পাল বলেন, ‘‘শুকনো মরা ডাল কাটা জরুরি। দেখতে হবে, ওই কাজ করতে গিয়ে যেন সজীব ডালও কেটে ফেলা না হয়।’’ সজীব ডাল যাতে কাটা না পড়ে, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সেদিকে নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন অজয়শঙ্কর কুন্ডু।

Tree Branches Jessore Road
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy