হাওয়া অফিসের খবর অনুযায়ী, পারাদ্বীপ থেকে ৭৫০ কিলোমিটার দূরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপের জেরে ওড়িশা এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের দিকে ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় নাডা। তার জেরে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সুন্দরবনেও জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা। আতঙ্কিত হয়ে অনেকে বেড়ানো মাঝরাস্তায় থামিয়ে সুন্দরবন থেকে কলকাতায় রওনা হয়েছেন। পূর্ব নির্ধারিত সুন্দরবন সফর বাতিল করেছেন কয়েকজন। ভরা পর্যটক মরসুমে এই ঘটনায় চিন্তায় পড়েছেন সুন্দরবনের হোটেল ব্যবসায়ী থেকে পর্যটকেরা।
প্রতি বছরের মতো এ বছরেও দুর্গাপুজোর আগে থেকে সুন্দরবনে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক তাঁদের বেড়ানোর আনন্দটাই মাটি করে দিয়েছে। অনেকেই ফিরে আসছেন। কলকাতার পার্ক সার্কাসের বাসিন্দা রফি আহম্মেদ, নিউটাউনের শুভঙ্কর বিশ্বাসদের মতো অনেকেই সুন্দরবনে যাওয়ার জন্য লঞ্চ ভাড়া করলেও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় বুকিং বাতিল করে দিয়েছেন।
স্থানীয় ট্যুর অপারেটর এবং হোটেল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বর্তমানে সুন্দরবন রয়েছেন, এ রকম অনেক পর্যটক সফর মাঝপথে বাতিল করে ফিরে যাচ্ছেন। ক্যানিঙের বাসিন্দা পর্যটন ব্যবসায়ী অনিমেষ মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি। সারেঙদের (যারা লঞ্চ চালান) বলা রয়েছে, আবহাওয়া খারাপ হলে পর্যটকদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যেতে। ঘূর্ণিঝড় হলে পর্যটকদের পাখিরালা অথবা কোনও লজ, হোটেলে রাখা হবে। তবে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি অনুকূলেই রয়েছে।’’ সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফি়ল্ড ডিরেক্টর নীলাঞ্জন মল্লিক জানান, সুন্দরবনে ঘুরতে যেতে নিষেধ করা হয়নি। তবে সাবধান করা হচ্ছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে।
মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, ‘‘আমরা সুন্দরবন এলাকার কোস্টাল থানা এলাকা ও পঞ্চায়েতগুলিকে সাবধান করে দিয়েছি। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। লঞ্চ মালিকদের সংগঠনগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy