জট: সার দিয়ে দাঁড়িয়ে ট্যাক্সি। শুক্রবার, বারাসত চাঁপা়ডালি মোড়ে। ছবি: সুদীপ ঘোষ
জাতীয় সড়কে যানজট হচ্ছে, দীর্ঘ সময় আটকে থাকছে যানবাহন তাই ট্যাক্সি স্ট্যান্ডটি অন্যত্র সরানো হয়েছিল। কিন্তু তা সত্বেও রাস্তার উপরে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকছে ট্যাক্সি। বেঁধে রয়েছে যানজট। এমনই অবস্থা বারাসতের চাঁপাডালি মোড়ের।
বারাসতের ওই মোড়টি থেকেই ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক, যশোর রোড চলে গিয়েছে বনগাঁর দিকে। বসিরহাট থেকে টাকি রোড এসেও মিশেছে ওই মোড়েই। বারাসত স্টেশনের কাছে ৩৪ ও ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কের সংযোগকারী উড়ালপুলটিও মিশেছে চাঁপাডালিতে। এমন ব্যস্ত রাস্তায় সার দিয়ে দাঁড়িয়ে ট্যাক্সি। রয়েছে অটো, টোটো, রিকশা, ভ্যান রিকশা। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহনের ভিড়ে ক্রমশ সঙ্কীর্ণ হয়ে যাচ্ছে রাস্তা। যশোর রোড ধরে কোনওমতে যাতায়াত করে দূরপাল্লার গাড়ি। ওই মোড় পার হতে গিয়েই অনেকটা সময় লেগে যায়।
সেই সব সমস্যা মেটাতে কিছু দিন আগে চাঁপাডালির ট্যাক্সি স্ট্যান্ডকে সরিয়ে দত্তপুকুরের দিকে মাছবাজারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে স্ট্যান্ড থাকা সত্ত্বেও যশোর রোডের উপর সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছে গাড়ি। শুক্রবার বারাসতে ওই মোড়ে গিয়ে এখানে কেন দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রশ্ন করলে প্রায় সব চালকেরই বক্তব্য, ফিরতি পথে যাত্রী নেওয়ার জন্য কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁরা। ওই এলাকারই এক দোকানদার জানান, বারণ করলেও চালকেরা কথা শোনে না। রাস্তার উপরেই পরপর ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে থাকে।
প্রতি দিন ওই রাস্তা ধরে যাতায়াত করেন রাহুল সেন। বাসে করে চাঁপাডালি মোড় পেরিয়ে দত্তপুকুরে যেতে হয়। শুধু মোড়টুকু পার হতেই অনেকটা সময় লেগে যায়।
প্রায়ই ট্যাক্সি চালকদের সঙ্গে পথচারীদের গোলমাল লেগে থাকে। ট্রাফিক পুলিশ ওই ট্যাক্সি চালকদের কিছুই বলে না। অফিসের কাজে বারাসতে স্কুটি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় ইন্দ্রানী নিয়োগীর। তিনি বলেন, ‘‘ওই মোড় বাদ দিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। যানজটের সমস্যায় ওখান দিয়ে যেতে ভয় পাই।’’
বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওখান থেকে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডটিকে সরিয়ে মাছ বাজারের দিকে নিয়ে গিয়েছি। বাইরে থেকে আসা কিছু ট্যাক্সি যাত্রী তোলার জন্য ওখানেই দাঁড়ায়। তার জন্যেই এই সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’’