রেললাইন থেকে এক ফল ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার হল। বুধবার রাতে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার চম্পাহাটি ও কালিকাপুরের মাঝে রেললাইন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আসিফ আলি (২০) নামে ওই ব্যবসায়ীর দেহ। তাঁর বাড়ি সোনারপুর থানা এলাকার উকিলপুরে। তবে ট্রেনের ধাক্কাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে, নাকি এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ আসিফের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সময় সেখান দিয়ে যত ট্রেন গিয়েছিল, তার চালকদের বয়ান ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। যা থেকে প্রাথমিক ভাবে তাঁদের অনুমান, ট্রেনের ধাক্কাতেই মৃত্যু হয়েছে আসিফের। ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টেও এমন কথা বলা হয়েছে।
তবে আসিফের পরিজনদের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে কী ভাবে এই মৃত্যু হল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। রেল পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘ময়না-তদন্তের রিপোর্ট ও আসিফের পরিজনদের বয়ান অনুযায়ী তদন্ত করা হচ্ছে। ওই সময় আসিফের সঙ্গে কারা ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
এ দিন আসিফের বাবা মমতাজউদ্দিন বলেন, ‘‘বুধবার বিকেলে আসিফের এক বন্ধুর ফোন আসে। তার পরেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ও। রাতে ওই বন্ধুই ফোন করে জানায় যে, আসিফের দুর্ঘটনা ঘটেছে।’’ স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দা জানিয়েছেন, ওই দিন বিকেলের পরে চার জন ছেলে-মেয়েকে রেললাইনের ধারে বসে গল্প করতে দেখেছিলেন তাঁরা।
অন্ধকার হয়ে যাওয়ার পরেও ওই চার জন সেখানেই বসে ছিলেন। পরে আসিফকে রেললাইনের ধারে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এর পরেই ওই ছেলে-মেয়েদের মধ্যে দু’জনকে প্রশ্ন করতে শুরু করেন স্থানীয় একটি ক্লাবের কয়েক জন সদস্য। খবর দেওয়া হয় সোনারপুর জিআরপি থানায়। তদন্তকারীদের কাছে ওই বন্ধুদের দাবি, কানে হেডফোন লাগিয়ে আসিফ রেল লাইন ধরে হাঁটচ্ছিলেন। তাই ট্রেনের আওয়াজ শুনতে পাননি। ফলে আচমকা ট্রেন এসে গেলে তার ধাক্কায় ছিটকে প়়ড়ে যান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy