Advertisement
E-Paper

হোটেলে মহিলার দেহ, বেপাত্তা সঙ্গী

প্রেমিককে স্বামী বলে পরিচয় দিয়ে কাকদ্বীপের একটি হোটেলে উঠেছিলেন নামখানার সন্ধ্যা মান্না (২৬)। সোমবার সকালে হোটেলের ঘর থেকে তাঁর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৬ ০১:২৬
এই ঘরেই খুন হন সন্ধ্যা। — নিজস্ব চিত্র।

এই ঘরেই খুন হন সন্ধ্যা। — নিজস্ব চিত্র।

প্রেমিককে স্বামী বলে পরিচয় দিয়ে কাকদ্বীপের একটি হোটেলে উঠেছিলেন নামখানার সন্ধ্যা মান্না (২৬)। সোমবার সকালে হোটেলের ঘর থেকে তাঁর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হল। প্রেমিক পলাতক। হোটেল মালিকের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে মারা হয়ে থাকতে পারে ওই গৃহবধূকে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নামখানার জানাঘেরি এলাকার বাসিন্দা সুভাষ মান্নার স্ত্রী সন্ধ্যা। বিয়ে হয়েছে বছর ছ’য়েক। দুই মেয়ে রয়েছে। কিন্তু কিছু দিন আগে নামখানার সীমাবাঁধ এলাকার গাড়ির চালক তাপস দাসের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সন্ধ্যাদেবীর। স্বামীর সংসার ছেড়ে তাপসের সঙ্গে কয়েক মাস ভাড়া বাড়িতেও কাটান ওই তরুণী। কিছু দিন হল, স্বামীর সংসারে ফিরেছিলেন তিনি।

সন্ধ্যার স্বামী পানের বরজে কাজ করতেন। একটি দুর্ঘটনার পর থেকে স্থায়ী ভাবে কাজকর্ম করেন না। হোটেল থেকে ওই বধূর পরিচয়পত্র এবং মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সুভাষবাবুকেও থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ। তিনি জানিয়েছেন, এক আত্নীয়ের বাড়ি যাবেন বলে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন স্ত্রী। এ দিন কাকদ্বীপ চৌমাথার কাছে গলির ভিতরে ওই হোটেলে গিয়ে দেখা গেল, ছোট ছোট খুপরি ঘর। সামান্য টাকা ভাড়া। সিসিটিভির বালাই নেই। হোটেল মালিক তপন দাস জানান, রবিবার গতকাল রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই মহিলা তাঁর পুরুষ সঙ্গীকে নিয়ে আসেন। স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি ঘর ভাড়া করে। সকালে ম্যানেজার দেখেন, ঘরের দরজা ভেজানো। দেখা যায়, বিছানার উপরে শোয়ানো আছে সন্ধ্যার দেহ। পরনে পোশাক নেই। একটা গামছা আলগোছে দেহের উপরে ফেলা। পুলিশের অনুমান, ওই গামছার ফাঁস গলায় পেঁচিয়েই খুন করা হয়েছিল মহিলাকে।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ মনে করছে, ভোররাতের দিকে ঘটনা ঘটেছে। তারপরে চুপিসাড়ে হোটেল ছাড়েন মহিলার সঙ্গী।

হোটেলে সিসিটিভি নেই। হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, শীঘ্রই হোটেল সংস্কার হওয়ার কথা। তারপরেই সিসিটিভি লাগানোর পরিকল্পনা ছিল। কাকদ্বীপের আরও কয়েকটি হোটেল চলছে এ রকম নড়বড়ে পরিকাঠামো নিয়েই। অথচ নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সমস্ত হোটেলেই সিসিটিভি লাগানোর উপরে জোর দিচ্ছে পুলিশ। হোটেলটির ব্যবসা-সংক্রান্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হোটেল মালিকের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই আপাতত মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

Deadbody Hotel
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy