হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কায় এক পথচারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়। ক্ষিপ্ত জনতা অভিযুক্ত চালকের খোঁজে তাণ্ডব চালায় হাসপাতালের ভিতরে। ভাঙচুর চালানো হয় ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালকের ঘরেও। দোষী ব্যক্তির গ্রেফতার এবং মৃতের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে ঘণ্টাখানেকের জন্য কার্তিকপুরে বারাসত-টাকি রোড অবরোধ করে জনতা। যার জেরে নাকাল হন মানুষ।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে খবর, শনিবার সকালে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে চায়ের দোকানে ভিড় জমিয়েছিল এলাকার মানুষ। তখনই হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুল্যান্স হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে চায়ের দোকানে। পর পর ৩টি চায়ের দোকানের সামনে পাতা বেঞ্চ ও টেবিল ভেঙে রাস্তার উল্টোদিকে কাঠের গুঁড়িতে ধাক্কা মারে সেটি। ওই গুঁড়িটির উপরেই বসেছিলেন বিশ্বনাথপুরেরই বাসিন্দা নুর ইসলাম মণ্ডল (৫০) নামে এক ভ্যানচালক। অ্যাম্বুল্যান্সটি নুরকে সেখানেই পিষে দেয়। সাত সকালে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আহত অবস্থায় নুরকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
পুলিশ জানায়, এই খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জনতা। অ্যাম্বুল্যান্স চালকের খোঁজে হাসপাতালে ঢুকে পড়ে তারা। ভাঙচুর করা হয় চালকের ঘর। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেখান থেকে মেলে মদের বোতল ও গাঁজার সরঞ্জাম। তা দেখে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের বিশাল বাহিনী। ক্ষিপ্ত জনতা টাকি রোড অবরোধ করে। তবে ক্ষতিপুরণ ও অভিযুক্তকে গ্রেফতারে আশ্বাস পেয়ে ঘণ্টাখানেক পরে অবরোধ উঠে যায়। পুলিশ জানায়, শনিবার এক রোগীকে বারাসাত জেলা হাসপাতালে পাঠানোর জন্য অ্যাম্বুল্যান্সে খবর দেওয়া হয়। সেই সময়ে অ্যাম্বুল্যান্স চালক মোয়াজ্জেম মোল্লা না থাকায় তাঁর সহকারি সরিফুল তরফদার গাড়িটি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে নিয়ে আসতে গিয়েই এই বিপত্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy