গঙ্গাসাগরে কপিল মুনির আশ্রম ঘিরে আজ, বুধবার থেকে শুরু হতে চলেছে মাঘী পূর্ণিমার মেলা। স্থানীয় সূত্রের খবর, সাগর মেলার মত ভিড় না হলেও এই মেলায় আড়াই-তিন লক্ষ মানুষ আসেন। সেই তুলনায় সরকারি ব্যবস্থাপনা একেবারেই থাকে না বলে অভিযোগ। তবে প্রশাসনের দাবি, এ বার বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রশাসনিক বৈঠকে পরিকাঠামো নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাঘী পূর্ণিমার জন্য ১৫টি ভেসেল, দু’টি বার্জ, অতিরিক্ত ১৫টি বাস কলকাতা থেকে এসেছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর থেকে পানীয় জল, আলো ও মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা থাকছে। মাঘী পূর্ণিমার জন্য আলাদা ভাবে কোনও অর্থ বরাদ্দ থাকে না। তবে বিভিন্ন দফতর থেকে এ বছর পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেই খবর।
গঙ্গাসাগর উপকূল থানার হাতেগোনা কয়েক জন পুলিশ কর্মী এবং পঞ্চায়েত কর্মী নিয়ে প্রায় তিন লক্ষ লোকের ভিড় সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। তাই সুন্দরবন পুলিশ জেলা থেকে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এই সময়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আশ্রম মিলিয়ে খুব বেশি হলে ৫০ হাজার মানুষের থাকার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়। বাকিদের রাত কাটে কার্যত খোলা আকাশের নীচে! খোলা জায়গায় যাতে শৌচকর্ম না হয়, সে জন্য সাগর মেলায় সতর্ক ছিল প্রশাসন। মাঘী পূর্ণিমা
ঘিরেও সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি।
সাগরের বিডিও কানাইয়া কুমার রায় বলেন, “যাত্রীদের থাকার জন্য কচুবেড়িয়া ও মেলা প্রাঙ্গণে দু’টি যাত্রী শেড তৈরি করা হচ্ছে।” সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, “যাত্রীরা যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন, সে জন্য প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। যাত্রীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থাও করা হবে।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)