নিজস্ব চিত্র
মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে বিশেষ মন্তব্য করতে চাইলে না বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বৈঠক সেরে বেরিয়ে এসে বললেন, ‘‘আমাদের দলের অনেক কর্মী ঘরছাড়া, সকলকে শান্তিতে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়াই এখন কাজ, কে গেল, কে এল, তা নিয়ে ভাবতে চাই না।’’ তত ক্ষণে তৃণমূল ভবনে পৌঁছে গিয়েছেন মুকুল। আবারও সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন এই নিয়ে। মুখ ঘুরিয়ে দিলীপের জবাব, ‘‘আমি কী করব?’’
শুক্রবার বনগাঁয় বিজেপি-র সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার ৬ বিধায়ক ও সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের। কিন্তু বৈঠকে আসেননি সাংসদ শান্তনু। অনুপস্থিত ছিলেন ৬ বিধায়কের ৩ জন। কার্যত ভাঙা হাটেই বৈঠক করতে হয় বিজেপি-র রাজ্য সভাপতিকে। বৈঠকের শুরুতেই অনুপস্থিতির তালিকা এত দীর্ঘ দেখে প্রশ্ন করা হয় দিলীপকে। উত্তরে দিলীপ বলেন, ‘‘আমন্ত্রণ করা হয়েছে সকলকে। তাঁরা নিশ্চয়ই আসবেন। কিন্তু সময় গড়ালে দেখা যায়, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া সভায় উপস্থিত হননি। উপস্থিত ছিলেন না শান্তনু ঠাকুরও। এঁদের অনুপস্থিতিতেই বৈঠক শুরু করে দেন দিলীপ ঘোষ। পরে বেরিয়ে এসে এ নিয়ে বলেন, ‘‘কিছু কিছু লোক ভোটে জেতার জন্য বিধানসভার আগে এসেছিলেন। এর পর বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে বেসুরো হয়েছেন। তাঁদের জন্য দলের কোনও ক্ষতি হবে না। দলের সম্পদ দলের কর্মীরা। তাঁরা সঙ্গে আছেন।’’
তত ক্ষণে কলকাতায় মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে পাকা খবর এসে গিয়েছে। বৈঠক সেরে দিলীপ বেরিয়ে আসতেই সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, তৃণমূল ভবনে পৌঁছে গিয়েছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। প্রশ্ন এড়িয়ে যান দিলীপ। তারপর ফের তাঁকে সেই প্রশ্ন নিয়ে তাড়া করলে মুখ ঘুরিয়ে জবাব দেন ‘‘আমি কী করব?’’ পরেও সাংবাদিকদের সঙ্গে একাধিকবার কথা হয় তাঁর, কিন্তু দিলীপের মুখে একই কথা ছিল। বারবার তিনি কর্মীদের ঘরছাড়া হওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন। মুকুল রায়ের দলবদলকে গুরুত্ব না দিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy