জেটিঘাট ঘুরে দেখছেন এক আধিকারিক।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরে বৃহস্পতিবার আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। লট ৮ নম্বর, কচুবেড়িয়ার জেটিঘাটগুলি ঘুরে দেখেন তাঁরা। জ়ওয়াদের প্রভাব ও অমাবস্যার কটালে তছনছ হয়ে যাওয়া গঙ্গাসাগরের উপকূলও ঘুরে দেখেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতির মুখে পড়েছে গঙ্গাসাগর মেলা প্রস্তুতি। হাতেগোনা আর কিছুদিন বাকি মেলার। সে কথা মাথায় রেখে কংক্রিটের স্নান ঘাট তৈরির পাশাপাশি সমুদ্রতটে পাইলন দিয়ে বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছিল সেচ দফতর। বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাসে সে সব ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। যাত্রী ছাউনি তৈরির জন্য নদীপথে নৌকোয় করে বাঁশ এনে সমুদ্রতটের পাশে রাখা ছিল। অধিকাংশ বাঁশ ভেসে গিয়েছে। এ বার মেলার প্রস্তুতি নতুন করে শুরু করা এবং সময়ে শেষ করা প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রশাসনের একটি সূত্রের খবর, এ মাসের শেষের দিকে মুখ্যমন্ত্রীর গঙ্গাসাগরে আসার কথা। তার আগে সব কাজ শেষ করতে চাইছে প্রশাসন। মেলাকে এ বছরও পরিবেশবান্ধব করার জন্য প্লাস্টিকমুক্ত ঘোষণা করেন গঙ্গাসাগর বকখালি উন্নয়ন পর্ষদ। এ জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। গঙ্গাসাগর বকখালি উন্নয়ন পর্যদের চেয়ারম্যান শ্রীমন্ত মালি জানান, প্রত্যেক দোকানদার ৪০ মাইক্রোনের নীচে প্লাস্টিক ব্যবহার করবেন। এ জন্য সচেতনতা শিবির করা হবে। পর্ষদের আধিকারিক শম্ভুদীপ সরকার জানান, বিভিন্ন দফতর থেকে মেলার প্রস্তুতির কাজ যেমন চলছিল, প্রাকৃতিক দুর্যোগে তা কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে সময়ের আগে কাজ শেষ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy