Advertisement
E-Paper

বারাসতে বৈদ্যুতিক চুল্লি

অবশেষে বারাসত-সহ সংলগ্ন এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে বারাসত শ্মশানে বসবে বৈদ্যুতিক চুল্লি। থাকবে অন্য সুযোগ, সুবিধাও। রাজ্য সরকারের অর্থানুকুল্যে বারাসত পুরসভার তত্বাবধানে এই কাজ হবে।

অরুণাক্ষ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৭ ০০:৫৮

অবশেষে বারাসত-সহ সংলগ্ন এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে বারাসত শ্মশানে বসবে বৈদ্যুতিক চুল্লি। থাকবে অন্য সুযোগ, সুবিধাও। রাজ্য সরকারের অর্থানুকুল্যে বারাসত পুরসভার তত্বাবধানে এই কাজ হবে।

বারাসত, হৃদয়পুর-সহ আশপাশের এলাকায় ইলেকট্রিক চুল্লি তো দূরের কথা ঠিকমতো দাহ করার ব্যবস্থাই ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে একটি বৈদ্যুতিক চুল্লির দাবি জানিয়ে এসেছেন বাসিন্দারা। বারাসত পুরসভায় চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের গ্রিন সিটি প্রকল্পে বারাসতের কাজিপাড়ায় শ্মশানটি তৈরি হবে। থাকবে বৈদ্যুতিক চুল্লি। শ্মশানটিকে সুন্দর করে সাজানোও হবে।’’

শবদাহ নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন বারাসত সংলগ্ন বামগাছি, দত্তপুরকুর, বিড়া, গুমা, অশোকনগর, হাবরা, গোবরডাঙা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। ওই সব এলাকায় কোনও শ্মশানেই বৈদ্যুতিক চুল্লি নেই। একমাত্র বনগাঁতেই ইলেকট্রিক চুল্লি রয়েছে। বারাসত থেকে যার দূরত্ব ৫০ কিলোমিটারেরও বেশি।

আগে বারাসত-ব্যারাকপুর রোড সংলগ্ন বরবরিয়াতে কোনওমতে মৃতদেহ সৎকার চলত। ঘনবসতিপূর্ণ ওই এলাকায় দাহের কাজের জন্য এলাকার মানুষ বহুদিন ধরেই আপত্তি তোলে। বারাসত জেলা হাসপাতাল মর্গের দেহ সেখানে দাহ করা নিয়ে গোলমাল চরমে পৌঁছোয়। এর পর বাসিন্দাদের আপত্তিতে বরবরিয়াতে সৎকারের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

আর পড়ে ছিল কাজিপাড়ার শ্মশানটি। তার হালও খারাপ ছিল। ২০১৫-এ বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারের সাংসদ তহবিলের টাকায় কাজিপাড়ার শ্মশানটির সংস্কার হয়। শ্মশানটির চার ধারে পাঁচিল দিয়ে উপরে ‘শেড’ বসানো হয়। তবে সেখানেও কাঠের চুল্লিতে দাহ চলে। এখানেই তৈরি হবে নতুন শ্মশান। বসবে বৈদ্যুতিক চুল্লি।

বারাসত পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বৈদ্যুতিক চুল্লি-সহ শ্মশানে কী কী করা হবে সে সব পরিকল্পনা হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার সহমতও হয়েছেন। এ বার টাকা এলেই কাজ শুরু হবে।’’ দাহের পরে চিতাভস্ম জলে বিসর্জনের রীতি রয়েছে। কিন্তু কাজিপাড়া শ্মশানের মধ্যের পুকুরটি বুজে গিয়েছে। শ্মশানের পিছনেই রয়েছে বিদ্যাধরীর একটি নদীখাল। সেটি সংস্কারের ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুরসভা।

Electric furnace
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy