Advertisement
০৭ মে ২০২৪
Kakdwip Hospital

প্রেমে পড়ে কাকদ্বীপে সাঁইথিয়ার বধূ, সঙ্গীর বাড়িতে ‘তাণ্ডব’ বাপের বাড়ির, গ্রেফতার ১৯

মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুলপি থানার পুলিশ। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ অন্তঃসত্ত্বা এক মহিলাকেও মারধরের।

কাকদ্বীপে বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ।

কাকদ্বীপে বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৩ ১৩:০২
Share: Save:

প্রেমের টানে বীরভূমের সাঁইথিয়া থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে গৃহবধূ। কুলপিতে প্রেমিকের মামার বাড়িতে চড়াও গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন। আহত প্রেমিকের অন্তঃসত্ত্বা বোন। গ্রেফতার ১৯।

জানা গিয়েছে, সাঁইথিয়ার সুজাতা রায়ের সঙ্গে ফোনের মাধ্যমে আলাপ কাকদ্বীপের যুবক শুভঙ্কর মণ্ডলের। এর পরে তাঁদের সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। মাস দেড়েক আগে সুজাতা বীরভূম থেকে পালিয়ে এসে শুভঙ্করের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সমস্যার সূত্রপাতও তখনই। বাপের বাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর খোঁজখবর করে জানতে পারেন, সুজাতা কুলপি থানার নিশ্চিন্তপুরের অশ্বত্থতলায় শুভঙ্কর নামে এক ব্যক্তির মামাবাড়িতে থাকছেন।

খবর পেয়ে অশ্বত্থতলায় শুভঙ্করের মামার বাড়িতে গিয়ে চড়াও হন সুজাতার বাপের বাড়ি এবং শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। শুভঙ্করের পরিবারের অভিযোগ, সুজাতার বাপের বাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ঘরের দরজা ভেঙে বাড়ির ভেতর ঢুকে বাড়ির বৃদ্ধ, মহিলা-সহ ছেলের বাবা, মা এবং বোনকে বেধড়ক মারধর করেন। মারধরের জেরে শুভঙ্করের অন্তঃসত্ত্বা বোন অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনার পর গ্রামবাসীরা অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে উদ্ধার করে কুলপি বেলপুকুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। অন্য দিকে, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কুলপি থানার পুলিশ। শুভঙ্কর-সহ মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে কুলপি থানার পুলিশ। ধৃতদের মঙ্গলবার ডায়মন্ড হারবার আদালতে পেশ করা হবে।

সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসডিপিও বিশ্বজিৎ নস্কর জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kakdwip Hospital arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE