Advertisement
E-Paper

পারিবারিক কোন্দলে রাজনীতির রঙ, মার মহিলাকে

দুই প্রতিবেশী পরিবারের মধ্যে বিবাদ দীর্ঘ দিনের। দু’পক্ষ দুই দল করায় তা মাঝে মধ্যে উসকে যেত। যার জেরে এ বার মারধর করে এক মহিলার মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটল বসিরহাটের দালালপাড়ায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৪৯
প্রহৃত টিঙ্কু। বুধবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

প্রহৃত টিঙ্কু। বুধবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

দুই প্রতিবেশী পরিবারের মধ্যে বিবাদ দীর্ঘ দিনের। দু’পক্ষ দুই দল করায় তা মাঝে মধ্যে উসকে যেত। যার জেরে এ বার মারধর করে এক মহিলার মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটল বসিরহাটের দালালপাড়ায়।

পুলিশ জানায়, টিঙ্কু সাহা নামক জখম মহিলাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ হয়েছে পাঁচু দালাল এবং শিলা দালালের নামে। তারা পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কংগ্রেসের দাবি, জোটের পক্ষে খাটাখাটনি করায় টিঙ্কুকে কয়েক দিন ধরে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। বুধবার বিকেলে প্রতিবেশী ভাইবোন পাঁচু-শিলা (সম্পর্কে ভাই-বোন) ঘরে ঢুকে মারধর করে টিঙ্কুকে। চুলের মুঠি ধরে দেওয়ালের সঙ্গে ঠুকে দেয়। মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়ে পড়েন মহিলা। পাঁচুরা তৃণমূল সমর্থক বলেই পরিচিত। তৃণমূলের দাবি, এটা পারিবারিক ঘটনা। যার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই।

টিঙ্কু বলেন, ‘‘জোটের হয়ে ভোট করার জন্য আমাকে গালিগালাজ করা হচ্ছিল। সেটা তবু মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা আমার সন্তানদের ক্ষতি করতে চেয়েছিল। যা শুনে মাথা গরম হয়ে যায়। কেন ওরা এমন করছে জানতে গেলে মারধর করে পাঁচু-শিলারা।’’

অন্য দিকে, ভাঙড়ের বালককে মারধরের ঘটনাও পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করেই ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে জানতে পেরেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।

মঙ্গলবার তৃণমূলের ফেস্টুন ছিঁড়ে ঘুড়ি বানিয়ে ওড়ানোর অভিযোগে সাহিল মোল্লা নামে বছর দ’শেকের এক বালককে মারধরের অভিযোগ ওঠে কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ছেলেটির চিকিৎসা করানো হয় হাসপাতালে। সাহিলের বাবা মহিউদ্দিন ছ’জনের নামে অভিযোগ করেন থানায়। মঙ্গলবার ভাঙড়ের হরিহরপুরের পালপাড়ার ওই ঘটনায় কাউকে অবশ্য এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী পরিবার দু’টি ভিন্ন রাজনৈতিক শিবিরে। ফলে ফেস্টুন ছেঁড়ার ঘটনায় রাজনীতির রঙ লাগে।

সিপিএম নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, রাজনৈতিক আক্রোশ চরিতার্থ করতেই ছোট ছেলেটিকে মারধর করা হয়েছে। যা মানতে চাননি স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। নেহাতই গ্রাম্য বিবাদ।

election police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy