Advertisement
E-Paper

মেয়ের দাম্পত্য কলহ বন্ধ করতে গিয়ে জামাইয়ের মারে আগরপাড়ায় মৃত্যু শ্বশুরের! অভিযুক্ত বেপাত্তা

অয়ন্তিকা বসুর শ্বশুরবাড়ি এবং বাপের বাড়ি একই পাড়ায়। গত কয়েক দিন ধরে অয়ন্তিকা এবং তাঁর স্বামী সৈকতের দাম্পত্য কলহ চরম আকার নেয়। সেই খবর পেয়ে মেয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন বাবা।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৩৫
Kill

জামাইয়ের মারে শ্বশুরের মৃত্যু! গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

মেয়ের শ্বশুরবাড়ি একই পাড়ায়। জামাইয়ের সঙ্গে গত কয়েক দিন ধরে ঝগড়াঝাঁটির খবর পেয়ে মধ্যস্থতা করতে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিযোগ, জামাইয়ের মারধরের জেরেই মারা গিয়েছেন প্রৌঢ়। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ার আজাদহিন্দ নগরে। অভিযুক্ত পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর চারেক আগে আগরপাড়ার বাসিন্দা অলোক মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে অয়ন্তিকার বিয়ে হয়েছিল সৈকত বসুর সঙ্গে। অয়ন্তিকার শ্বশুরবাড়ি এবং বাপের বাড়ি একই পাড়ায়। গত কয়েক দিন ধরে নাকি অয়ন্তিকা এবং সৈকতের দাম্পত্য কলহ চরম আকার নেয়। প্রায়শই তাঁদের অশান্তি হত বলে অভিযোগ। সেই খবর পেয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি যান অলোক।

বছর পঞ্চাশের প্রৌঢ় অলোক যখন মেয়ের বাড়িতে যান, তখনও স্বামীর সঙ্গে অয়ন্তিকার ঝগড়া হচ্ছিল। বস্তুত, ছেলে-বৌমার অশান্তি দেখে সৈকতের বাবা অলোককে বাড়িতে ডেকেছিলেন। কিন্তু মেয়ে-জামাইয়ের অশান্তি মেটানোর চেষ্টার ফল হয় উল্টো। অভিযোগ সৈকত শ্বশুরের গায়ে হাত তোলেন। তাঁর মারধরের চোটে অসুস্থ হয়ে পড়েন অলোক। তিনি মেঝেতে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে যান।

অলোককে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানান, রাস্তাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ওই ঘটনার পর থেকে মৃতের জামাই বেপাত্তা। এই ঘটনার জেরে আগড়পাড়ার আজাদহিন্দ নগর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘোলা থানার পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ মর্গে পাঠাচ্ছে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।

Father in law Death killed Beaten to death Crime police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy