উদ্যোগ: কাজ চলছে বারাসতের দ্বিজহরি দাস শ্মশানে। ছবি: সুদীপ ঘোষ
বহু টালবাহানার পরে বারাসতে কাজিপাড়ায় দ্বিজহরি দাস শ্মশানে বসানো হতে চলেছে বৈদ্যুতিক চুল্লি। গ্রিন সিটি প্রকল্পের এই কাজে টাকা দিচ্ছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই সমীক্ষার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারাসত পুরসভা সূত্রের খবর, বারাসত এলাকায় এটি প্রথম শ্মশান, যেখানে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানো হতে চলেছে।
রাজ্য সরকার বরাদ্দ ২ কোটি ২৪ লক্ষ টাকার এই কাজ হবে পুরসভার তত্ত্বাবধানে। পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শ্মশানটিকে সুন্দর ভাবে সাজানোর কাজ চলছে। বাগান, প্রতীক্ষালয়, আলো-সহ জলের ব্যবস্থা করা হবে।’’
২০১৫ সালে বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারের টাকায় এই শ্মশানের একদফা সংস্কার হয়েছিল। চার ধারে পাঁচিল করে কাঠে দাহ করার জায়গায় ছাউনি হয়েছে। এখানেই হচ্ছে দু’টি বৈদ্যুতিক চুল্লি। বারাসত পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বৈদ্যুতিক চুল্লি-সহ সব কাজের পরিকল্পনা হয়ে গিয়েছে। দরপত্র ছাড়াও হয়ে গিয়েছে। চুল্লির ধোঁয়া যাতে পরিবেশ দূষণ করতে না পারে, সে জন্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের নিয়ম মানা হবে।’’ এই শ্মশানের পিছনেই রয়েছে বিদ্যাধরী খাল। বারাসত পুরসভার দাবি, সেটি সংস্কার করে জলের সমস্যা মিটেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত, হৃদয়পুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় এত দিন বৈদ্যুতিক চুল্লি তো দূর, সুষ্ঠু ভাবে দাহ করার ব্যবস্থা ছিল না। ফলে কলকাতার কোনও শ্মশানে নিয়ে গিয়ে সৎকার করতে হত স্থানীয়দের। সমস্যার কথা বারবার বিভিন্ন মহলে জানিয়েও ছিলেন স্থানীয়েরা। বৈদ্যুতিক চুল্লির দাবি তাই দীর্ঘদিনের। বারাসত-ব্যারাকপুর রোড সংলগ্ন বরবরিয়া শ্মশান ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় এক সময়ে বারাসত জেলা হাসপাতালের মর্গের দেহ সেখানে সৎকার নিয়ে গোলমাল চরমে পৌঁছয়। এর পরে সেখানে বন্ধ হয়ে গিয়েছে দাহকার্য।
পুরসভা সূত্রের খবর, বামনগাছি, দত্তপুকুর, হাবরা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় দশটি শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি নেই। কেবল রয়েছে বনগাঁয়। এই কাজ শেষ হলে বনগাঁ ও কলকাতার উপরে চাপ কমবে বলে দাবি পুরসভার। সেই সঙ্গে মর্গের অশনাক্ত দেহ দাহ করা নিয়েও সমস্যা মিটবে বলে আশাবাদী কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy