Advertisement
E-Paper

শিশুকে খুনে গ্রেফতার ঠাকুর্দা-ঠাকুমা

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা হল মনোরঞ্জন দে এবং তার স্ত্রী মিনতি দে। উষসী তাদের ছেলে দীপঙ্করের একমাত্র কন্যা। পুলিশ জেনেছে, কাঁকিনাড়ার মনোরঞ্জনের সঙ্গে দীপঙ্করদের সম্পর্ক ভাল ছিল না। সেই কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে কিনা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। যদিও খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে মনোরঞ্জন এবং তার স্ত্রী। পুলিশ জানিয়েছে, তাদেরকে ফের জেরা করা হবে। ব্যারাকপুর আদালত শুক্রবার দুই অভিযুক্তকে তিন দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৯ ০৩:৩০
—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

কাঁকিনাড়ার শিশুকন্যা খুনে তার দাদু এবং ঠাকুমাকে গ্রেফতার করল জগদ্দল থানার পুলিশ। তাঁদের চার বছরের নাতনি উষসীকে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা হল মনোরঞ্জন দে এবং তার স্ত্রী মিনতি দে। উষসী তাদের ছেলে দীপঙ্করের একমাত্র কন্যা। পুলিশ জেনেছে, কাঁকিনাড়ার মনোরঞ্জনের সঙ্গে দীপঙ্করদের সম্পর্ক ভাল ছিল না। সেই কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে কিনা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। যদিও খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে মনোরঞ্জন এবং তার স্ত্রী। পুলিশ জানিয়েছে, তাদেরকে ফের জেরা করা হবে। ব্যারাকপুর আদালত শুক্রবার দুই অভিযুক্তকে তিন দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে।

দীপঙ্কর একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। ২০১৩ সালে স্থানীয় বাসিন্দা আত্রেয়ীকে নিজে পছন্দ করে বিয়ে করেন তিনি। এই বিয়ে মেনে নেননি তাঁর বাবা মা। বিয়ের পরে ছেলে-বৌমাকে বাড়িতে থাকতেও দেয়নি তারা। এলাকাতেই ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তাঁরা।

২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে উষসীর জন্ম হয়। দীপঙ্কর বলেন, ‘‘আমি বাবা-মাকে বলি মেয়েকে দেখতে এস। কিন্তু ওরা আসেনি। শেষ পর্যন্ত এক রকম জোর করেই মেয়ের এক বছর বয়সে আমি বাড়িতে চলে আসি। তবে আলাদাই থাকতাম। বাবা-মা আমাদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখত না।’’ বৃহস্পতিবার দুপুরে উযসীকে ডাকে মিনতি। সে তখন খেয়ে মায়ের কাছে ঘুমোচ্ছিল। কিছুক্ষণ পরে সে যখন ফেরে, তখন তার মুখ থেকে ঝাঁঝালো গন্ধ বেরোচ্ছিল। আত্রেয়ী জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, দাদু ঠাকুমা তাকে ইলিশ মাছ-ভাত খাইয়েছে। কিছুক্ষণের তার মধ্যে মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোতে শুরু করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তার। মনোরঞ্জন ইছাপুর মেটাল কারখানার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। দীপঙ্কর বলেন, ‘‘বাবা-মা আমার স্ত্রীকে সহ্য করতে পারত না। সে জন্য আমার মেয়ের সঙ্গেও ভাল ব্যবহার করত না। তার জন্য ইলিশ মাছের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে ওকে খুন করা হয়েছে।’’ বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ দু’জনকে আটক করেছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার উষসীর দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। তার পাকস্থলীতে থাকা খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তা ভিসেরা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।

Crime Arrest Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy