Advertisement
১৯ মে ২০২৪

দলীয় প্রতীক দেওয়া নিয়ে বিজেপির কোন্দল

রাজ্যের নানা প্রান্তে নিজের দলের অন্দরের কোন্দল সামাল দিতে জেরবার তৃণমূল। দলীয় অশান্তি কোথাও কোথাও ভোগাচ্ছে বিজেপিকেও।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গাইঘাটা শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৮ ১২:৫১
Share: Save:

রাজ্যের নানা প্রান্তে নিজের দলের অন্দরের কোন্দল সামাল দিতে জেরবার তৃণমূল। দলীয় অশান্তি কোথাও কোথাও ভোগাচ্ছে বিজেপিকেও।

বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায় বিজেপির দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট বাধে। দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রামনগর পঞ্চায়েতের একটি আসনে বিজেপির দু’জন মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে সমস্যা দানা বেঁধেছে।

বিজেপির চাঁদপাড়া মণ্ডল সভাপতি চন্দ্রকান্ত দাসের বাড়ি ছেকাটি এলাকায়। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে তিনি দাবি করেছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা বিজেপি সহ সভাপতি মধুসূদন মণ্ডল, মিহির বাছার, শ্রীবাস বাছারের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দুষ্কৃতী দল তাঁর বাড়িতে ঢোকে। ভাঙচুর চালায়। স্ত্রী-মাকে গালিগালাজ, মারধর করে তারা। চন্দ্রকান্তবাবুর বিরুদ্ধে পাল্টা মারধরের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় শশাডাঙা গ্রামের বিজেপি কর্মী তাপস দাস। মধুসূদনের দাবি, চন্দ্রকান্তর সঙ্গে কথা বলতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। চন্দ্রকান্ত বাড়ি ছিলেন না। ফিরে আসেন মধুসূদনরা। কাউকে মারধর বা গালিগালাজের ঘটনা ঘটেনি। মধুসূদন বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক। তিনি বলেন, ‘‘রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি আসনে প্রার্থী হতে চেয়ে সুপ্রিয়া মণ্ডল বাছার মনোনয়ন দেন। বৃহস্পতিবার আমি তাঁকে দলীয় প্রতীক দিই। ওঁরা বিডিও অফিসে গিয়ে জানতে পারেন, রিঙ্কু পান্ডে নামে এক মহিলা ইতিমধ্যেই বিজেপির প্রতীকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।’’ মধুসূদনের দাবি, ‘‘চন্দ্রকান্তই টাকার বিনিময়ে দলীয় প্রতীক বিক্রি করেছেন। ঘটনার কথা জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’’

চন্দ্রকান্তবাবু অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানান, দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশেই রিঙ্কুকে প্রার্থী করা হয়েছে। তাঁর দাবি, দলেরই কিছু লোক যখন তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়, এলাকার বাসিন্দারা তাদের ধরে চড়-থাপ্পড় মেরেছেন।

জেলা বিজেপি সহ সভাপতি বিপ্লব হালদার বলেন, ‘‘দলে একটা গোলমাল ঘটেছে। একটি আসনে দু’জন প্রার্থী ছিলেন। যিনি প্রার্থী হতে পারেননি, তাঁকে তৃণমূল মদত দিয়ে গোলমাল বাধানোর চেষ্টা করেছে।’’

অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ‘‘ভিত্তিহীন অভিযোগ। ওরা নিজেদের কোন্দল সামলাতে না পেরে আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Group Clash TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE