চলছে ক্লাস।—নিজস্ব চিত্র।
স্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাড়াই চলছে স্কুলের পঠনপাঠন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার শশাডাঙা জুনিয়র হাইস্কুলের অবস্থা এমনই। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার জন্য ওই স্কুলের ভরসা হল মাত্র দু’জন অতিথি শিক্ষক। নিয়মিত পঠন পাঠন না হওয়ায় কমছে পড়ুয়া।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে স্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকা না থাকায় জানুয়ারি মাসে ২২ জন পড়ুয়া ওই স্কুল ছেড়ে অন্য স্কুলে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে সেখানে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি মিলিয়ে ৬১ জন পড়ুয়া রয়েছেন। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুভাষচন্দ্র সাহা অবসর নেন। তিনিই ছিলেন স্কুলের একমাত্র স্থায়ী শিক্ষক। তিনি অবসর নেওয়ার পরে স্কুল চালাতে ভরসা হলেন টুটুন কুমার দত্ত এবং অসিত কুমার ঘোষ নামে দুই অতিথি শিক্ষক। তবে স্কুলের দৈনন্দিন পঠনপাঠন চালু রাখতে সম্প্রতি অবসরের পরেও স্কুলে আসছেন সুভাষবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘ছাত্রদের মধ্যে থাকলে ভালো থাকা যায়। তাই অবসরের পরেও স্কুলে আসছি।’’
স্কুলে গিয়ে দেখা গেল, একই ঘরে সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন টুটুনবাবু। ৬৪ বছরের টুটুনবাবু ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ওই স্কুলে অতিথি শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন। শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি নিয়মিত মোটরবাইক করে স্কুলে আসছেন। আরেক শিক্ষক অসিতবাবু ২০১৬ সালের নভেম্বর মাস থেকে ওই স্কুলে পড়াচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা না থাকলে স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু এভাবে কতদিন চলতে পারে?’’ শিক্ষা দফতরের বনগাঁ মহকুমার অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আইনি জটিলতায় সর্বত্র শিক্ষক নিয়োগ থমকে রয়েছে। সেই সমস্যা মিটলে ওই স্কুলেও স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। তবে এখন কাজ চালাতে আরও কয়েকজন অতিথি শিক্ষক নিয়োগের কথা ভাবা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy