Advertisement
E-Paper

মাধ্যমিক কেন্দ্রে ডিএলএডের ক্লাস, সমস্যায় শিক্ষক

মাধ্যমিকের প্রস্তুতি নিয়ে এমনিতেই এখন ব্যস্ত তাঁরা। তার মধ্যে শনিবার ও রবিবার রাষ্ট্রীয় মুক্ত বিদ্যালয়ের ক্লাস ফেলা হয়েছে মাধ্যমিকের কেন্দ্র হওয়া বিভিন্ন স্কুলে। মাধ্যমিকের আগে ক্লাস হবে কিনা, তা নিয়ে শনিবার সকাল থেকে প্রচুর ফোন সামলাতে গিয়ে হিমসিম খান প্রধান শিক্ষকেরা।

শান্তশ্রী মজুমদার

শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৮ ০২:২৫

মাধ্যমিকের আগে ডিএলএডের ক্লাস করা নিয়ে বিভ্রান্ত বিভিন্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা।

মাধ্যমিকের প্রস্তুতি নিয়ে এমনিতেই এখন ব্যস্ত তাঁরা। তার মধ্যে শনিবার ও রবিবার রাষ্ট্রীয় মুক্ত বিদ্যালয়ের ক্লাস ফেলা হয়েছে মাধ্যমিকের কেন্দ্র হওয়া বিভিন্ন স্কুলে। মাধ্যমিকের আগে ক্লাস হবে কিনা, তা নিয়ে শনিবার সকাল থেকে প্রচুর ফোন সামলাতে গিয়ে হিমসিম খান প্রধান শিক্ষকেরা। স্কুল শিক্ষা দফতরের সঙ্গে মুক্ত বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ের অভাবেই এ রকম হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন অনেক শিক্ষক।

শনিবার শ’খানেক ফোন সামলেছেন বলে জানালেন সাগরের খানসাহেব আবাদ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়দেব দাস। তাঁর স্কুলে মাধ্যমিকের সিট পড়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘ইন্টারনেটে স্কুলের নাম আর প্রধান শিক্ষকের মোবাইল নম্বর দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। অথচ স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। আমরা মাধ্যমিকের আগে ওই ক্লাস করাতে পারব কিনা, তা তো জানবে।’’ একই রকম সমস্যায় পড়েছে জেলার অনেক স্কুল। এ দিন সকাল থেকেই প্রধান শিক্ষকদের মোবাইলে ফোন আসতে শুরু করে কখন ক্লাস হবে তা জানতে চেয়ে।

মগরাহাটের একটি স্কুলের শিক্ষক তথা এবিটিএর জেলা সম্পাদক রবিন রায় বলেন, ‘‘সোমবার মাধ্যমিক। আমার নিজের স্কুলেও সিট পড়েছে। তার প্রস্তুতিতে অনেক সময় চলে যাচ্ছে। এর মধ্যে শনিবার ও রবিবার ক্লাস কী ভাবে হবে? বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের তো একটু নজর দেওয়া উচিত ছিল।’’ ফোন করে না পেয়ে এ দিন অনেক ছাত্র বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পৌঁছেও গিয়েছেন ক্লাসের জন্য। তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে স্কুল। কারণ, তাদের ক্লাস নিয়ে কোনও মিটিং বা কোনও প্রশিক্ষক স্কুলগুলিকে দেওয়া হয়নি। তার আগেই সটান ইন্টারনেটে স্কুলের প্রধানদের নম্বর জুড়ে দিয়ে ক্লাসের দিন ঠিক করে ফে‌লা হয়েছে।

কাকদ্বীপ মহকুমায় ডিএলএডের ক্লাসের জন্য নাম রয়েছে অন্তত ৩০টি স্কুলের। তার মধ্যে অর্ধেকের বেশিতে রয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। সারা জেলা জুড়ে প্রায় ১৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ রকম ক্লাসের জন্য ঠিক করা হয়েছিল।

কিন্তু কেন এই অব্যবস্থা?

জেলা স্কুল পরিদর্শক বাদলকুমার পাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে ওই দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে স্কুল শিক্ষা দফতরের মাধ্যমেই কোন কোন স্কুলে মুক্ত বিদ্যালয়ের ওই ক্লাস হতে পারে, তার হিসেব চাওয়া হয়েছিল। সেই মতো ফর্ম পূরণ করে পাঠিয়েছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা। কিন্তু দুম করে ক্লাস ফেলে দেওয়া হবে মাধ্যমিকের আগে, তা কেউই জানতে পারেননি।

D.L.ED Head Master School
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy