—প্রতীকী চিত্র।
জেলায় শিশু কল্যাণ সমিতির অভাবে ঘরছাড়া দিশাহারা শিশুদের ভোগান্তি চলছেই। রবিবার বারাসত স্টেশনে উদ্ধার হওয়া ১২-১৩ বছরের এক বালককে নিয়ে দিনভর টানাপড়েন চলল চাইল্ড লাইন ও কিশলয় হোমের মধ্যে।
বারবার বলা সত্ত্বেও কিশলয়ের সুপার বাচ্চাটিকে রাখতে টালবাহানা করেন বলে অভিযোগ। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ বারাসত স্টেশনে বাচ্চাটিকে একা ঘুরতে দেখে চাইল্ড লাইনের কাছে নিয়ে যায় রেলপুলিশ। বহু সাধ্যসাধনার শেষে বিকেল সাড়ে তিনটের পরে বাচ্চাটিকে রাখতে রাজি হয় কিশলয়।
কেন এই দেরি? কিশলয়ের সুপার মলয় চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, চাইল্ড লাইনের চিঠি না থাকাতেই দেরি হয়েছে। মানতে নারাজ চাইল্ড লাইন। এর পিছনে জেলায় জেলায় শিশু কল্যাণ সমিতি (সিডব্লিউসি)-র আকালই দায়ী, বলছেন সমাজকল্যাণ দফতরের কর্তারা। অন্তত চারটি জেলায় কমিটির মেয়াদ শেষ। সংশ্লিষ্ট অভিযোগ যেখানকার, সেই উত্তর ২৪ পরগনাতেও ১৮ জানুয়ারি কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। মুর্শিদাবাদের সিডব্লিউসি-র চেয়ারপার্সনকে উত্তর ২৪ পরগনা-সহ পাঁচটি জেলার দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে। কাজের চাপে তিনি জেলা চাইল্ড প্রোটেকশন অফিসার (ডিসিপিও)-কে বিষয়টি দেখতে বলেন। ডিসিপিও-কে ফোন করে সাড়া না মেলায় কিশলয় কর্তৃপক্ষ বাচ্চাটিকে হোমে রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ।
চাইল্ড লাইনের দাবি, অভিভাবকহীন বাচ্চাকে কারও নির্দেশ ছাড়াই হোম তাদের জিম্মায় রাখতে পারে। পরে সিডব্লিউসি-র কাছে তাকে পেশ করালেই চলবে। এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। অভিযোগ, কিশলয় কর্তৃপক্ষ পাঁচ ঘণ্টা বাচ্চাটিকে অফিস ঘরে বসিয়ে রাখেন। জেলায় সিডব্লিইসি না থাকায় হোমের বাচ্চাদের পুনর্বাসন আটকে রয়েছে। স্থান সঙ্কুলানের জেরেও নতুন বাচ্চা রাখতে কর্তৃপক্ষ টালবাহানা করছিলেন বলেও অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy