বকখালির সমুদ্র সৈকতে পর্যটকেরা। নিজস্ব চিত্র
পাহাড় বাদ। সে জন্য এ বার পুজোয় বেড়ানোর জন্য বকখালিকেই বেছে নিচ্ছেন দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ পর্যটক।
অষ্টমী থেকে দশমী পর্যন্ত বকখালির সমুদ্র সৈকত গমগম করবে বলেই আশা করছেন হোটেল মালিকরা। কিন্তু একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, পরিকাঠামো এবং সুযোগ সুবিধার বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি।
বকখালির ভাল হোটেলগুলিতে ৮০-৮৫ শতাংশ আসন বুকিং হয়ে রয়েছে। একটি হোটেলের ম্যানেজার বাসুদেব ধারামি বলেন, ‘‘মূল ভিড়টা হয় অষ্টমী থেকে দশমী বা একাদশী পর্যন্ত। তারপর লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত চলে পর্যটকদের আসা।’’ কিন্তু বকখালি যাঁরা আসেন তাঁদের অভিজ্ঞতা খুবই খারাপ। বিশেষ করে বার্জ পরিষেবা থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট এবং এটিএম নিয়ে প্রচণ্ড ভাবে ভুগতে হয় পর্যটকদের।
নামখানার হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীতে বার্জ পেরনোর জন্য পর্যটকদের গাড়ি নিয়ে প্রায় ৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। সেখানে তাঁদের একটি অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি তুলেছেন হোটেল মালিকদের সংগঠনের নেতা অপূর্ব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ‘‘অল্প সময়ের জন্য লোকে বেড়াতে আসছেন। কিন্তু নদীর দুই প্রান্তে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে তাঁদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। সেখানে যদি প্রশাসন তাঁদের একটু অগ্রাধিকার দেয়, তা হলে পর্যটনের উন্নতি হবে।’’
বকখালিতে একটি মাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টার। তা-ও বিকল। তাই ক্যাশ ছাড়া সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলে আগাম জানিয়ে দিয়েছে হোটেলগুলি। সারা দিনে দীর্ঘ সময় লোডশেডিং, বেলা ২টোর পরে বকখালি থেকে বাস পরিষেবা না মেলার মতো অসুবিধাগুলির সমাধান এ বছরও নেই। ফলে প্রচুর পর্যটক বকখালির দিকে এলেও তাঁদের পরিষেবা থেকে বঞ্চিতই থাকতে হবে বলে মনে করছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
হেনরি আইল্যান্ডে তিন পর্যটকের মৃত্যুর পরে বকখালি পর্যটন কেন্দ্রের নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ করার কথা বলেছিল জেলা প্রশাসন। কেবলমাত্র কিছু সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে নজরদারি বাড়ানো ছাড়া আর কিছুই করা হয়নি। যদিও এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও। নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য কিছু দিন আগে প্রায় ১৭ দফা পরিকল্পনা অবশ্য তিনিই করেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy