হাত-পা বাঁধা। চিৎকার করে কাউকে ডাকার শক্তি নেই শরীরে। চোখের সামনে সংসারের সর্বস্ব লুট হতে দেখলেন অসহায় গৃহকর্ত্রী। ‘ভয়ঙ্কর’ ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কিত উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখা থানার বাছরা মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিবাড়ি এলাকা। ডাকাতদের ধরার চেষ্টায় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মিনাখার বাসিন্দা রঞ্জিত মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে সোমবার গভীর রাতে ডাকাতি হয়। কর্মসূত্রে বাইরে ছিলেন রঞ্জিত। রাতে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন, সমস্ত ঘর তছনছ। অসুস্থ স্ত্রীর হাত-পা গামছার সঙ্গে বাঁধা। চোখেমুখে আতঙ্ক গৃহিণী সন্ধ্যা মণ্ডলের।
রঞ্জিতের দাবি, বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন স্ত্রীকে খাটের সঙ্গে বেঁধে রেখে গিয়েছে কেউ বা কারা। গোটা বাড়ির জিনিসপত্র এলোমেলো। দামি জিনিস সব উধাও। তিনি তড়িঘড়ি স্ত্রীকে বাঁধনমুক্ত করে। তাঁকে খানিক শান্ত করার পর গোটা ঘটনার কথা জানতে পারেন।
গৃহকর্ত্রী জানান, রাতে ডাকাতদল ঢুকে তাঁকে বেঁধে তাঁর চোখের সামনে ডাকাতি করে। একজনকে তিনি দেখলে চিনতে পারবেন। দম্পতির অভিযোগ, ৬ ভরি সোনার গয়না, নগদ ৮৪ হাজার টাকা, পিতলের বাসন-কোসন মিলিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা লুট হয়েছে তাঁদের বাড়ি থেকে। রঞ্জিত বলেন, ‘‘স্ত্রীর কাছে জানলাম, ডাকাতদল আগ্নেয়াস্ত্র, শাবল ইত্যাদি নিয়ে বাড়িতে ঢোকে। ওরা মোট ছ’জন ছিল। প্রথমেই আমার অসুস্থ স্ত্রীর হাত-পা খাটের সঙ্গে বাঁধে। তার পর আলমারি ভেঙে ৬ ভরি সোনার গয়না, নগদ ৮৪ হাজার টাকা, পিতল এবং কাঁসার জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দেয়।’’
আরও পড়ুন:
থানায় তিনি অভিযোগ করেছেন, সব মিলিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ডাকাতি হয়েছে। মঙ্গলবার রঞ্জিতদের বাড়িতে যায় হাড়োয়া থানার পুলিশ। তারা গোটা বাড়ি ঘুরে দেখে আসে এবং পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। বাড়ির কর্তাকে হাড়োয়া থানায় ডেকে তাঁর মুখে বিস্তারিত বিবরণ শোনে। হাড়োয়া থানার ওসি প্রতাপ মোদক বলেন, ‘‘একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। পুরো বিষয়টা আমরা খতিয়ে দেখছি।’’