ইরান-ইজ়রায়েল যুদ্ধের আবহে বৃহস্পতিবার রাতে অনেক দিন পরে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েছিলাম। ওই রাতে ইরানের দিক থেকে আমাদের পেতাহ টিকভা শহরের উপরে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি। ভেবেছিলাম, এ বার হয় তো হামলা কমবে। কিন্তু কোথায় কী! শুক্রবার রাতে ফের ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল। রাত ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ মোবাইলে সতর্কবার্তা ঢুকল। বুঝে গেলাম, কী করতে হবে। চারতলার ঘর থেকে নীচে বাঙ্কারে চলে গেলাম। রাত তখন ২টো ৪০ মিনিট। ইরান ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ইজ়রায়েলের আকাশে। আকাশেই অবশ্য সেগুলি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। রাতে আর ঘুম হয়নি। সকালে একটু ঘুমিয়েছি। কারণ, শনিবার আমাদের প্লাস্টিক তৈরির কারখানা বন্ধ থাকে। শনিবার এখানে সরকারি ছুটির দিন। বাগদার বাড়ি থেকে পরিবারের লোকজন সংবাদমাধ্যম যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে আমাকে উদ্বিগ্ন হয়ে ফোন করছেন। আমি আশ্বস্ত করে বলেছি, তোমরা ওখানে থেকে যা জানতে পারছ, তা পুরোটা সত্যি নয়। এখনও পর্যন্ত ইজ়রায়েলে যা সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা তেল আভিভে। সেখানে কিছু বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আমি যেখানে থাকি, সেখানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের প্রভাব কার্যত পড়েনি। গোটা ইজ়রায়েল জুড়ে ভারতীয় এবং বাঙালিরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন। তাঁদের অনেকের সঙ্গে নিয়মিত ফোনে কথাবার্তা বলছি। কোথাও কেউ আতঙ্কিত নন। আগে ইজ়রায়েল সেনা মাটি থেকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আকাশে ধ্বংস করছিল। এখন সেনা বিমান আকাশে চক্কর কাটছে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ থেকেই ধ্বংসকরে দিচ্ছে।
অনুলিখন: সীমান্ত মৈত্র
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)