ভোটার তালিকায় অসঙ্গতি নিয়ে প্রশাসনের একাংশের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা। বাংলাদেশি নাগরিকদের টাকা দিয়ে নাগরিকত্ব দেওয়ার পিছনে প্রশাসনের লোকজন জড়িত বলে দাবি তাঁর। সে দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন মহকুমাশাসক (কাকদ্বীপ) মধুসুদন মণ্ডল। সোমবার তিনি বলেন, “বাংলাদেশি নাগরিকেরা বেআইনি ভাবে এখানে বসবাস করছেন বলে কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। নাম-ঠিকানা সহ অভিযোগ হলে, পুলিশকে দিয়ে তদন্ত করিয়ে ফরেনার্স অ্যাক্টে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ভোটার তালিকায় অসঙ্গতিতে প্রশাসনের নাম জড়ানো প্রসঙ্গে এ দিন মহকুমাশাসক বলেন, “কিছু অসঙ্গতি চোখে পড়ায় তদন্ত করে তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে আমি নিজেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। এক জনকে সাসপেন্ডও (নিলম্বিত) করা হয়েছে।” সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট জানান, মহকুমাশাসকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
ভোটার তালিকায় অসঙ্গতি নিয়ে কিছু দিন আগেই কাকদ্বীপ মহকুমার এক কর্মীকে নিলম্বিত করে নির্বাচন কমিশন। অরুণ গড়াই নামে ওই কর্মী ছাড়াও আরও দু’জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বাকি দু’জন নামখানা ব্লক দফতরের কর্মী। তাঁদের ইতিমধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন নামখানার বিডিও অমিতকুমার সাহু। জবাবে অসঙ্গতি মেলায় থানায় অভিযোগ জানানো হয়। বিডিও বলেন, ‘‘এখন ওই কর্মীরা অফিসেও আসছেন না।”
এ দিকে, ভোটার তালিকায় অসঙ্গতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। দলের নেতা অরুণাভ দাস বলেন, “এই দুর্নীতির শিকড় বহু পুরনো। সিবিআই তদন্ত ছাড়া, সত্য সামনে আসবে না।”
তৃণমূলের মথুরাপুরের সাংসদ তথা দলের ভোটার তালিকা স্ক্রুটিনি কমিটির সদস্য বাপি হালদার বলেন, “প্রশাসন তদন্ত করছে। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে, প্রশাসন কঠোর
ব্যবস্থা নেবে। তৃণমূল হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)