এখানেই মৃত্যু হয় গোলাম সর্দারের। নিজস্ব চিত্র।
একশো দিনের কাজ প্রকল্পে একটি পুকুর থেকে মাটি কাটার কাজ করছিলেন বেশ কিছু মহিলা-পুরুষ। পুকুরটির মাঝখানে ছিল একটি মাটির আল। আলের একদিকে কোমর সমান জল। অন্য দিকে জল নেই। পুকুরটির যে পাশে জল ছিল না সেখান থেকেই শ্রমিকেরা কোদাল দিয়ে মাটি কাটছিলেন। হঠাৎ মাটির সেই আলটি ভেঙে পড়ে। গোটা পুকুর তখন জলে ভরে যায়। দুই মহিলা-সহ চার জন শ্রমিক জলের তলায় চলে যান। বাকি তিন জন নিজেদের চেষ্টায় ও বাসিন্দাদের সাহায্যে কোনও রকমে উপরে উঠে আসে। পুকুরের মধ্যে থাকা একটি বালির গর্তের মধ্যে ঢুকে যায় গোলাম সর্দার (৫৪) নামে এক প্রৌঢ়। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ গাইঘাটার সুবিদপুর গ্রামের ঘটনা।
অনেক চেষ্টা করেও তাকে উদ্ধার করা যায়নি। পরে দুটি মেশিন এনে মিনিট চল্লিশ ধরে পুকুরের জল ছেঁচে গোলামকে উদ্ধার করা হয়। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর এলাকায় যান গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস ও বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক সুরজিৎ বিশ্বাস।
ওই গ্রামেই বাড়ি গোলামের। তার তিন ছেলে মেয়ে। অভাবের সংসার। একশো দিনের কাজ প্রকল্পে কাজ করে ও খেত মজুরের কাজ করে তিনি সংসার চালান। দুর্ঘটনায় আহত রহমান সর্দার নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘‘আমরা সাতাশ জন কাজ করছিলাম। মাটির আলটি যে ভেঙে পড়বে তা আমরা বুঝতে পারিনি। আমি কোনও রকমে বেঁচে ফিরেছি।’’ স্থানীয় রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহুয়া বিশ্বাস বলেন, ‘‘ওই কাজের জন্য আরও একটু সর্তকতা নেওয়া উচিত ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy