স্বাস্থ্যকর্তারা আসবেন শুনেই এক ব্যক্তিকে চিকিৎসক সাজিয়ে পেশ করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন প্রশ্ন করার পর জানা যায় যে, তিনি আদৌ ওই নার্সিংহোমের আবাসিক চিকিৎসক নন। পাথরপ্রতিমার মেটারনিটি নার্সিংহোমের ঘটনা।
ওই এলাকারই সুন্দরবন নার্সিংহোমে হানা দিয়ে দেখা যায়, রোগীর পরিবারের সদস্যরা থাকলেও রোগী নেই। কিছুক্ষণ পর অন্য ঘর থেকে লুকিয়ে রাখা রোগী বের হয়। আবাসিক চিকিৎসক না থাকায় রোগীকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। রবিবার পাথরপ্রতিমায় এ ভাবেই সারাদিন নানা অভিযোগের ভিত্তিতে নার্সিংহোমগুলিতে অভিযান চালাল স্বাস্থ্য দফতর এবং প্রশাসন।
নার্সিংহোম চালানোর জন্য চব্বিশ ঘণ্টা একজন আবাসিক চিকিৎকেরও প্রয়োজন। থাকার কথা জিএনএম নার্সদেরও। কিন্তু পাথরপ্রতিমায় এ দিন অভিযান চালিয়ে বেশিরভাগ নার্সিংহোমেই এ সব পেলেন না স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। তার জেরে ৭টি নার্সিংহোমের মধ্যে ৫টিকে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এগুলির মধ্যে সবিতা মেটারনিটি ছাড়াও গুরুদাসপুরের মা সারদা মাতৃমঙ্গল এবং মাদারল্যান্ড নার্সিংহোম, রামগঙ্গার জীবনদীপ এবং পাথরপ্রতিমা বাজারের মাদার টেরেজা নার্সিংহোম রয়েছে। স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, এগুলির সবগুলিতেই হয় পরিকাঠামো, না হলে লাইসেন্সের সমস্যা রয়েছে।
রামগঙ্গার জীবনদীপ নার্সিংহোমের সঙ্গেই এক্সরে চলছে কিন্তু তার জন্য কোনও লাইসেন্স নেই। এরকমই ছবি উঠে এসেছে অভিযানে। ঢোলাহাট মতিলাল বাজারের কাছে সেফা নার্সিংহোম এবং সুন্দরবন নার্সিংহোমকেও পরিকাঠোমা দ্রুত ঠিক করে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, তা না করলে কিছুদিনের মধ্যেই তা বন্ধ করার দায়িত্ব নিয়েছে প্রশাসন। সবগুলির বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy