খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে সিসি ক্যামেরা।—ফাইল চিত্র।
পথ দুর্ঘটনা তো ছিলই। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে খুনোখুনি-সহ অন্য অপরাধের ঘটনা। সে সব কিনারার জন্য পথ চলতি গাড়িতে নজরদারি চালানোর পাশাপাশি অপরাধ রুখতে উত্তর ২৪ পরগনার গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে লাগানো হয়েছিল সিসি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরা। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতে সেই সব সিসি ক্যামেরার বেশ কিছু খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। কিছু সারানো, কিছু পাল্টানো হয়েছে ঠিকই। কিন্তু বেশ কিছু এখনও ঠিকঠাক কাজ করছ না বলে পুলিশি রিপোর্টেই জানানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নজরদারি ব্যবস্থাতেও সমস্যা হচ্ছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।
বছর তিনেক আগে মধ্যমগ্রামে জোড়া খুনের ঘটনা নিয়ে গোটা রাজ্য তোলপাড় হয়। ভর সন্ধ্যায় মধ্যমগ্রাম চৌমাথার কাছে সেতুতে ওঠার মুখে মোটরবাইকে করে এসে দু’জনকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার পরে গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে সিসি ক্যামেরা কেন নেই, সেই প্রশ্নও ওঠে। বারাসত স্টেশনের কাছে দিদির সম্ভ্রম বাঁচাতে গিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রাজীব দাস খুন হয়েছিল। এরপরে তদন্তের সুবিধার্থে বারাসতের সাংসদ কাকলী ঘোষ দোস্তিদার এবং খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিধায়ক তহবিলের টাকায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। এ ছাড়াও পুলিশ, ট্রাফিক ও জেলা প্রশাসনও নিজেরা উদ্যোগী হয়ে বিভিন্ন রাস্তার কিছু কিছু জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসায়। বারাসত স্টেশন সংলগ্ন কাছারি মাঠ, জেলা প্রশাসনিক ভবনের মত অপরাধপ্রবণ এলাকাতেও বসানো হয় সিসি ক্যামেরা। কিন্তু পুলিশের রিপোর্টই বলছে, এই সব এলাকারও কিছু কিছু ক্যামেরা খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনা পুলিশের অধীনে মোট ২২টি থানা রয়েছে। জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক সূত্রে খবর, ওই সব থানা এলাকায় সব মিলিয়ে পাঁচশোর বেশি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। এয়ারপোর্ট, মধ্যমগ্রাম, বারাসতের ডাকবাংলো, চাঁপাডালি, কলোনি মোড় ছাড়াও যশোর রোড ধরে হাবরা, বনগাঁর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতেও লাগানো হয় সিসি ক্যামেরা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কিছু সিসি ক্যামেরা খারাপ হয়েছিল। কিছু পাল্টানো হয়েছে।’’ কিন্তু পুলিশ রিপোর্টই বলছে, ঝড়, শীত, বর্ষায় সিসি ক্যামেরায় বেশ চাপ পড়ে। কারণ ওই সব ক্যামেরায় ২৪ ঘণ্টাই রেকর্ডিং হয়। সাম্প্রতিককালে বেশ কিছু দুর্ঘটনা, অপরাধ এবং ডাকাতির কিনারা এই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই সমাধান করেছে পুলিশ। তবে যে ক্যামেরাগুলি খারাপ হয়ে রয়েছে সেগুলিও ঠিক করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অভিজিৎবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy