প্রতীকী ছবি।
এক নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার মাটিয়া থানা এলাকায়। এক দিন নিখোঁজ থাকার পর শুক্রবার সকালে একটি পার্কের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে ওই নাবালিকাকে। এর পর পুলিশই ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকেরা জানান, নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে ওই নাবালিকাকে কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বসিরহাটের মাটিয়ায় মামার বাড়িতে থাকে ওই নাবালিকা। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে সে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ হয় ওই নাবালিকা। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তার সন্ধান মেলেনি। এর পর শনিবার সকালে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে নাবালিকার পরিবার। পুলিশ তদন্তে নেমেই এলাকায় তল্লাশি শুরু করে। দুপুর নাগাদ পার্কের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় ওই নাবালিকাকে। এর পর পরিবারকে খবর দিয়ে তাকে বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর নাবালিকার স্বাস্থ্যের অবনতি হতেই তাকে আরজি করে পাঠানো হয়। সেখানে এইচডিইউ-তে ভর্তি রয়েছে ওই নির্যাতিতা। তার চিকিৎসায় পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। ওই দলে রয়েছে হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিভাগের প্রধান। এ ছাড়াও রয়েছেন সার্জারি, মেডিসিন, শিশু এবং পিআইসিইউ-এর বিশেষজ্ঞেরা। ইতিমধ্যেই নাবালিকার শরীরে এক বার অস্ত্রোপচার হয়েছে। এখনও তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই খবর হাসপাতাল সূত্রে।
অন্য দিকে, সাংবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা শহর আলি নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছে নাবালিকার পরিবার। অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, শহর আলি হাওড়ার ডোমজুড়ে পালিয়েছে। এর পর শনিবার বিকেলে অভিযুক্তকে ডোমজুড় থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy