পুলিশকে চিঠি লিখে নিজের বিয়ে আটকাল নাবালিকা।
রোজকার মতো মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেও থানায় নিজের ঘরে বসেছিলেন ক্যানিং থানার ওসি আশিস দাস। তখন একজন পুলিশ কর্মী এসে তাঁকে একটি বিয়ের কার্ড এবং একটি চিঠি দিয়ে যান। কার্ডের নাম দেখে খানিক অবাকই হয়েছিলেন ওসি। কারণ পাত্র, পাত্রী এবং তাঁদের পরিবার কেউই তাঁর পরিচিত নয়। এর পর চিঠিটি খুলে আরও অবাক হন তিনি। সেই চিঠিতে কাঁচা হাতে লেখা, ‘‘কাকু আপনি আমাকে বাঁচান। আমার বাড়ির লোক আমার অমতে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। আমি ১৫ বছরের এক নাবালিকা। আমি এখনও পড়াশোনা করতে চাই।’’ চিঠি লিখেছে জয়ন্তী সর্দার নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী।
চিঠি পড়েই কার্ডে লেখা ঠিকানায় গাড়ি পাঠিয়ে পাত্রী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের থানায় ডেকে আনেন। পাত্রীকে জিজ্ঞেস করেন, ‘‘তুমি পড়তে চাও?’’ পাত্রী জানায়, ‘‘হ্যাঁ।’’ এর পর ওসি পাত্রীর পরিবারের সদস্যদের জানান, নাবালিকা বিয়ে আইনত অপরাধ। পাত্র পক্ষকেও থানায় ডেকে সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে, পাত্রী যত দিন পড়তে চাইবে তত দিন তাকে পড়াতে হবে। যদিও ওই নাবালিকা বাড়ি ফিরে যেতে অস্বীকার করায় আপাতত তাকে একটি হোমে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিঙের কুলতলির বাসিন্দা দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল ক্যানিঙের ধলিরবাটির বাসিন্দা পরশুরাম ঢালির সঙ্গে। ২৫ নভেম্বর সেই বিয়ে হওয়ার কথা। বিয়ের সব আয়োজন প্রায় শেষ। এমন সময়ে বাধ সাধে পাত্রী নিজে। সে বিয়ে করতে না চেয়ে নিজেই চিঠি লিখে থানায় পাঠায়। ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের দাবি, ‘‘অনেক দিন আগে মেয়েটির বাবা মারা গিয়েছে। তাই ভাল পাত্র পাওয়ায় তার বিয়ের দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।’’
পাত্র পরশুরাম বলেন, ‘আমি আগে জানতাম না যে পাত্রীর বিয়েতে মত নেই। তবে ছোট বয়সে বিয়ে করা যে অপরাধ, সেটা জানতাম না।’’
দুর্ঘটনায় মৃত্যু। ট্রেকার উল্টে মৃত্যু হল চালকের। মঙ্গলবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা থানার গঙ্গাধরপুর ব্রিজের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আদিত্য মাইতি (৪০)। মঙ্গলবার রাতে রুটের ট্রেকার চলাচল শেষে খালাসিকে গাড়ি চালানো শেখাচ্ছিলেন আদিত্যবাবু। তখন তিনি চালকের পাশের আসনে বসেছিলেন তখনই ট্রেকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজের খাড়া ঢাল বেয়ে নীচে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান আদিত্য। খালাসিকে গুরুতর জখম অবস্থায় আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy