প্রতীকী ছবি।
মেয়েকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে হাবরা থানার ২ নম্বর এলাকা থেকে ওই মহিলাকে ধরা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরীর বাড়ি সোনাকেনিয়া এলাকায়। সে স্থানীয় একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। ওই দিন সন্ধ্যায় মারের চোটে মেয়েটি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এরপরেই তাকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় লোকজন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন দুপুরে খাওয়ার পর মা তাকে বাসন মাজতে বলেছিলেন। কিন্তু কিশোরীর কোমরে ব্যথা থাকায় সে বাসন মাজতে পারবে না বলে মাকে জানিয়েছিল। অভিযোগ, এরপরই মা তাকে গালিগালাজ করে। ঝাঁটা দিয়ে মারধর করে। এরপরেই কিশোরী বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শীতের সন্ধ্যায় কিশোরীকে রেল লাইন ধরে হাঁটতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় লোকজনের। তাঁরা তাকে এ ভাবে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে ওই কিশোরীকে থানায় নিয়ে আসে। মহিলা পুলিশ কর্মীরা দেখেন কিশোরীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্ত জমে গিয়েছে। পুলিশকে কিশোরী জানায়, মা তাকে ঝাঁটা দিয়ে পিটিয়েছে। কিশোরীর পিঠে ঝাঁটার কাঠি ফুটে যাওয়ার একাধিক চিহ্ন দেখতে পান পুলিশ কর্মীরা। থানায় অভিযোগও দায়ের করে ওই কিশোরী। এরপরেই পুলিশ গ্রেফতার করে মাকে।
পুলিশের কাছে কিশোরী জানিয়েছে, প্রায়ই মা তাকে মারধর করে। তাকে দিয়ে বাড়িতে জোর করে কাজ করানো হয়। ঘর মোছা, বাসন মাজা সব কাজ তাকে করতে হয়। করতে না চাইলে কপালে জোটে মার। রবিবার সে মায়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার আরও দু’টি ছেলে রয়েছে। তাদের প্রতি অবশ্য তিনি এমন ব্যবহার করেন না। মহিলার স্বামী পেশায় বাস চালক চুপচাপই থাকেন। তিনি এই অত্যাচার নিয়ে কিছু বলেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছে মেয়েটি।
সোমবার সকালে হাবরা থানায় বসে কিশোরী বলে, ‘‘আমার মা খুব রাগি। মাকে ছেড়ে দিন। না হলে আমাকে আর বাড়িতে ঢুকতে দেবে না। আমি লেখাপড়া করতে চাই।’’ ওই মহিলা অবশ্য মারধরের কথা অস্বীকার করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy