প্রতীকী চিত্র।
দ্বিতীয়বার কন্যাসন্তান। তার উপর মেয়ের গায়ের রং কালো। সে জন্য তিন মাসের কন্যা সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে গোসাবা থানার মথুরাখণ্ড গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শিশুর নাম অমৃতা পাত্র। ঘটনার খবর পেয়ে গোসাবা থানার পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। অভিযুক্ত মা পূরবী পাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দ্বিতীয় সন্তান মেয়ে হওয়ায় প্রথম থেকেই তাঁকে ঠিকমতো দেখাশোনা করত না পূরবী। একেতে কন্যা সন্তান। তার উপর শিশুটির গায়ের রংও কালো। সেই কারণে বড় মেয়েকে আদর যত্ন করলেও ছোট মেয়ের উপর কোনও যত্ন নিত না মা। ওই দুধের শিশুকে মাঝেমধ্যেই মারধর ও করত পূরবী বলে অভিযোগ। পূরবীর স্বামী জিতেন পাত্র ও শাশুড়ি গীতা পাত্র এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সাবধানও করেছিল তাকে। অভিযোগ, নানা অছিলায় তাকে মেরে ফেলার চেষ্টাও করেছিল সে। এ দিন সকালে জিতেন ও গীতা নদীতে মাছ ধরার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। আর সেই সুযোগে ছ’বছরের বড় মেয়ে অঙ্কিতার সামনেই ছোট মেয়েকে চাদর ও বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে পূরবী। ঘটনার পর বিষয়টি ধামা চাপা দিতে চেয়েছিল সে। কিন্তু বাবা ও ঠাকুমা বাড়ি ফিরলে অঙ্কিতা ঘটনার কথা জানিয়ে দেয় তাঁদের। ঘটনার কথা মুহূর্তেই গ্রামে জানাজানি হয়। গ্রামবাসীরাই এ বিষয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে। আটক করা হয় অভিযুক্ত মাকে। এ বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গোসাবা থানায় পরিবারের তরফ থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে পুলিশ খুনের মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। জিতেন বলেন, “দ্বিতীয় মেয়ের জন্মের পর থেকেই ওর প্রতি খারাপ আচরণ করত পূরবী। অনেকবার ওকে সাবধান করেছি, কিন্তু শোনেনি।” মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুনের ঘটনায় স্তম্ভিত এলাকার সাধারণ মানুষ। গ্রামবাসী নির্মলা মণ্ডল, কল্পনা সর্দাররা বলেন, “মা হয়ে নিজের দুধের শিশুকে কী ভাবে খুন করতে পারল? পূরবীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy