দিন পাঁচেক আগে খুন হয়েছিলেন কাকদ্বীপের সিপিএম নেতা নরোত্তম মণ্ডল। কিন্তু ওই খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে পুলিশ এখনও ধরতে পারেনি।
এতে ক্ষুব্ধ নিহতের পরিবার। সে কারণে তাঁরা হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাতে চান। সোমবার আক্রান্ত আমরার প্রতিনিধি দল ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করে। আক্রান্ত আমরার তরফে অম্বিকেশ মহাপাত্র বলেন, ‘‘তদন্তের নাম করে পুলিশ যে ভাবে প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাদের আড়াল করতে চাইছে তাতে সন্তুষ্ট নয় ওই পরিবার। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত। আমরা ওই পরিবারকে আইনি সাহায্য করব।’’
২০ জুলাই বাপুজির সিপিএম সমর্থক নরোত্তম মণ্ডলকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে বাপুজির ত্রাস তৃণমূল নেতা বিশ্বনাথ পাত্র এবং দলের অঞ্চল সভাপতি সুভাষচন্দ্র গুড়িয়া-সহ আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে। পুলিশ ২১ জুলাই দু’জনকে গ্রেফতারও করে। কিন্তু মূল অভিযুক্তরা এখনও অধরা। এই তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগও রয়েছে।
এ দিন অম্বিকেশ মহাপাত্র ছাড়াও ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন ফোরামের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা আহ্বায়ক শিক্ষক মইদুল ইসলাম। মইদুল বলেন, ‘‘তৃণমূলের দলনেত্রী রাজধর্ম পালনের কথা বলছেন। আর তাঁরই দলের নেতা মন্ত্রীরা অপরাধীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তাই থানা তাদের খুঁজে পাচ্ছে না।’’ আক্রান্ত আমরা দলে ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার প্রতিবাদী বরুণ বিশ্বাসের বাবা ও দিদি।
নরোত্তম মণ্ডলের স্ত্রী প্রমীলা জানান, তাঁদের ডেকে পাঠানো হচ্ছে থানায়। নানারকম জিজ্ঞাসাবাদও চলছে। কিন্তু দোষীরা কেউই ধরা পড়ছে না। তাঁরক কথায়, ‘‘আমার স্বামীকে দিনে দুপুরে পিটিয়ে খুন করে গা ঢাকা দিয়েছে ওরা। সঠিক বিচার সিবিআই তদন্ত ছাড়া পাব না’’ যদিও পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সব জায়গায় অভিযুক্ত বিশ্বনাথের নাম এবং নম্বর দিয়ে পাঠানো হয়েছে। যেখানেই থাক ধরা ঠিক পড়বে।
প্রশ্ন উঠেছে, এফআইআরে নাম থাকা দ্বিতীয় অভিযুক্ত তথা বাপুজির তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সুভাষচন্দ্র গুড়িয়ার মোবাইল খোলা রয়েছে। তা হলে তাকে কেন ধরা হচ্ছে না?
পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্বনাথের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ জোরদার করতে গেলে ধৃত দুই জনের বয়ান, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া খুনে ব্যবহার হওয়া বাঁশের সাক্ষী প্রয়োজন। সেগুলি হয়ে গেলেই আরও জোরদার করা হবে তল্লাশি। তবে এলাকার তৃণমূল প্রতিমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরার দাবি, ওই ঘটনায় যাঁদের নাম জড়ানো হয়েছে সেদিন তাঁদের মধ্যে অনেকেই এলাকায় ছিলেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy