পড়ে মা-ছেলের দেহ। নিজস্ব চিত্র
ঘরের বিছানায় পাশাপাশি পড়ে মা ও ছেলের দেহ। পাশে একটি কাগজে লেখা, ‘‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’’ সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার রসপুঞ্জের ধর্মতলায় এই ঘটনা ঘিরে রহস্য দেখা দিয়েছে। মৃতদের নাম মধুমিতা পোড়েল (৩২) এবং অরিত্র পোড়েল (৯)। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পিত ভাবে দু’জনকে খুন করা হয়েছে। ওই গৃহবধূর স্বামী চিত্ত পোড়েলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, জয়রামপুরের বাসিন্দা মধুমিতার সঙ্গে ১২ বছর আগে বিয়ে হয় চিত্তর। তাঁদের একমাত্র ছেলে অরিত্র তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। যাদবপুরে চিত্তর একটি পান-সিগারেটের দোকান আছে। পাশেই তাঁর দাদার দোকান। মধুমিতার ভাই শঙ্কর সামন্ত বলেন, ‘‘সকালে পৌঁছে দেখি, বোন ও ভাগ্নের দেহ পড়ে রয়েছে। এক প্রতিবেশী ফোনে জানান। বোনের শ্বশুরবাড়ির কেউ কিছু জানায়নি।’’ শঙ্করবাবুর অভিযোগ, ক’দিন ধরে দোকান নিয়ে জামাইবাবুর সঙ্গে তাঁর ভাইদের অশান্তি চলছিল। ন’ভাই এবং ছোট ভাই পরিকল্পনা করে খুন করেছে।
স্থানীয়দেরও অভিযোগ, দোকানের ভাগ নিয়ে চিত্তর সঙ্গে ছোট ভাই ও ন’ভাইয়ের ঝামেলা চলছিল। তার জেরে অশান্তি হয়েছিল চিত্ত এবং মধুমিতার মধ্যে। তদন্তে পুলিশের অনুমান, ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী হন মধুমিতা। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার গলায় ঝুলে পড়ার দাগ থাকলেও ছেলের গলায় কোনও দাগ মেলেনি। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও জানান, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy