সচেতন বাড়াতে উদ্যোগী কলেজ পড়ুয়ারা। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।
বাইকে হেলমেট ঝুলিয়ে কাজে বেরিয়েছিলেন প্রৌঢ়।
হঠাৎ মাথায় টুপি, জামায় ব্যাচ লাগিয়ে রাস্তায় একদল তরুণ-তরুণী হাত দেখায়। ভয়ে ভয়ে বাইকটি থামান তিনি। তাঁকে হেলমেট পড়তে অনুরোধ করা হয়। এক গাল হেসে ভুলে গিয়েছিলাম বলে হেলমেটটি মাথায় দিয়ে রওনা হন ওই প্রৌঢ়।
রবিবার হাবরার বিভিন্ন জায়গায় এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কিছু ছেলেমেয়েদের এই কাজ করতে দেখা গেল। তাঁদের কথা শুনে কেউ মাথায় হেলমেট চাপাচ্ছেন। আবার কেউ তাঁদের গুরুত্ব না দিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছেন।
ওই তরুণ-তরুণীরা সকলেই একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য। সম্প্রতি হাবরা, মছলন্দপুর, গোবরডাঙা, গাইঘাটা, সুন্দরবন, ন্যাজাট, হিঙ্গলগঞ্জ-সহ বিভিন্ন এলাকায় তাঁরা নানারকম সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন। তবে শুধু যে হেলমেটহীন বাইক চালকদের সতর্ক করছেন তা নয়। পাশাপাশি নাবালিকার বিয়ে বন্ধ, প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার না করা, রং করা সব্জি বা ফল বর্জন করা, হেডফোন বা মোবাইল কানে দিয়ে রাস্তায় যাতায়াত না করার মতো বিষয়গুলি নিয়েও প্রচার চালাচ্ছেন সংস্থার সদস্যরা। এঁদের মধ্যে কলেজ পড়ুয়ারাও রয়েছে। এই সংস্থার পক্ষ থেকে মানুষের সঙ্গে কথা বলে সচেতন করার পাশাপাশি লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। সংস্থার নিজস্ব টাকাতেই এই কাজগুলি করা হচ্ছে।
সংস্থার সদস্যরা জানিয়েছেন, নাবালিকা বিয়ের খবর পেলেই তাঁরা ওই কিশোরীর অভিভাবকদের বোঝাচ্ছেন। তাতে কাজ না হলে পুলিশকে খবর দিয়ে বিয়ে বন্ধ করছেন। খাদ্যে ভেজাল মেশানো নিয়েও তাঁরা মানুষকে সচেতন করছেন। স্টেশন, হাট বাজারে প্রচারও চালাচ্ছেন।
এ দিন গাইঘাটা বাজারে গিয়ে দেখা গেল এক যুবক বছর পাঁচের এক শিশুকে নিয়ে হেলমেট ছাড়াই যাচ্ছিলেন। হেলমেটটি বাইকের সামনে ঝোলানো। হাত দেখাতে থামলেন ঠিকই।
কিন্তু হেলমেট পরতে বললে তিনি কোনও কথা গ্রাহ্য না করেই চলে গেলেন। আবার যাঁদের সঙ্গে হেলমেট ছিল না তাঁরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলেন এ বার থেকে বাইক চালানোর সময় অবশ্যই হেলমেটটি পরবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy