অকালে: মৃত নির্মল ঘোষ
বৃহস্পতিবার সকালে মেয়ে হয়েছে। সন্ধের দিকে বাড়ির দিকে আসছিলেন বাবা। দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ-চাকদহ সড়কে গোপালনগর থানার টালিখোলা মোড় এলাকায়। খালি ট্রাকের সঙ্গে স্কুটির মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। স্কুটি চালাচ্ছিলেন নির্মল ঘোষ (৩৫)। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পুলিশ ট্রাকটি আটক করেছে। চালক পলাতক। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না-তদন্তে। নির্মলবাবুর স্ত্রী পূর্ণিমাদেবী এখনও হাসপাতালে ভর্তি। তাঁকে খবর জানানো হয়নি। স্বামীকে দেখতে না পেয়ে উচাটন হওয়ায় তাঁকে বলা হয়েছে, এক আত্মমীয় অসুস্থ হওয়ায় সেখানে গিয়েছেন নির্মলবাবু।
পেশায় ঘি ব্যবসায়ী ওই যুবকের বাড়ি বনগাঁ শহরের খয়রামারি এলাকায়। বছর তিনেক আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালেই বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে কন্যাসন্তান প্রসব করেন তাঁর স্ত্রী। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ গোপালনগরের দিক থেকে স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন নির্মলবাবু। টালিখোলা মোড়ের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি খালি ট্রাকের সঙ্গে তাঁর ধাক্কা লাগে। রাস্তায় ছিটকে পড়েন নির্মল। ট্রাকের পিছনের চাকা তাঁর মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, হেলমেট পড়েননি তিনি। নির্মলবাবুর ভাইপো দিব্যেন্দু ঘোষ বলেন, ‘‘গোপালনগরের দিকে আমাদের কোনও আত্মীয় থাকে না। উনি কেন ওই দিকে গেলেন, বুঝতে পারছি না।’’
গত চার মাসে এই রাস্তায় দুর্ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। সম্প্রতি পুলিশের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনা কমাতে কড়া পদক্ষেপও করা হয়েছে। সড়কে ইমারতি মালপত্র ফেলে রাখলে গ্রেফতার করা হচ্ছে, মালপত্র বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। বেআইনি পার্কিংয়ের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ চলছে। তারমধ্যেই ফের এই ঘটনা। বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায় বলেন, ‘‘কী ভাবে ওই দুর্ঘটনা ঘটল, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।’’
দিব্যেন্দুবাবুর বক্তব্য, ওই রাস্তায় গার্ডরেল, ডিভাইডার না বসলে দুর্ঘটনা কমানো যাবে না। এ ভাবে একের প এক প্রাণহানি ঘটতেই থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy