চলছে ঝঁুকির পারাপার। — অরুণ লোধ
রেল কর্তৃপক্ষের কথা মেনে রেল অবরোধ তুলে নিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু অভিযোগ, তার পরেও বজবজ স্টেশনে ফুট ওভারব্রিজ তৈরি হয়নি। ফলে বজবজ স্টেশনে লাইনে পেরিয়ে যাতায়াত চলছেই। অনেক সময়ে দাঁড়িয়ে ট্রেনের নীচ দিয়েই অনেকে লাইন পেরিয়ে যান। এ ভাবে পারাপার চললে যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। অবস্থার পরিবর্তন না হলে আবার আন্দোলনের কথা জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্টেশনের এক পাশে রয়েছে বজবজ পুরসভার ১৫, ১৬ এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ড এবং মহেশতলা পুরসভার ৩৪ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড। বালুরঘাট, বাজেকালী নগর, পারুইপাড়া, মণ্ডলপাড়ার প্রায় দশ হাজার বাসিন্দা। তাঁদের বজবজ রেল স্টেশনে আসতে গেলে বাধ্য হয়ে একের পর এক রেল লাইন পার হতে হয়। এ ছাড়া কাছেই দু’টি চটকল রয়েছে। সেই কারখানার শ্রমিকেরাও ওই লাইন পার হয়ে কাজে আসেন।
বজবজ স্টেশনের টিকিটি কাউন্টারের দিকেই রয়েছে কলেজ, স্কুল, বাজার, হাসপাতাল, থানা-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অফিস। ফলে রেললাইন পার না হলে কাজ হবে না। ফলে বাধ্য হয়েই লাইন পেরতে হয়। এমনই অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বেশির ভাগ সময়েই স্টেশনে মালগাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। তখন মালগাড়ির নীচ দিয়ে আসা ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। এমনকী ট্রেনের নীচ দিয়ে সাইকেলও নিয়ে আসতে হয়। ঝুঁকির কথা মেনে নিয়েছেন রেলকর্মীদের একাংশ। তাই মালগাড়ি ছাড়ার সময়ে সতর্ক করতে বারবার আবেদন করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগে লাইনের পাশে একটি রাস্তা ছিল। সেখান দিয়েই স্থানীয় মানুষেরা যাতায়াত করতেন। কিন্তু লাইনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পরেই ওই রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ২০১০ থেকেই এই অবস্থা বলে জানান সাধারণ বাসিন্দারা। এর প্রতিবাদে ২০১৪-এর ডিসেম্বরে ফুটওভার ব্রিজ অথবা আন্ডারপাসের দাবিতে রেল অবরোধ করেছিলেন। রেল কর্তৃপক্ষ তখন সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু দু’বছর পেরিয়ে গেলেও কিছু হয়নি। রেল-কর্তৃপক্ষ অবশ্য কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কথা স্বীকার করেননি। পূর্ব রেলের মুখ্য-জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, ‘‘আপাতত বজবজে ফুটওভারব্রিজ তৈরির কোনও পরিকল্পনা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy