ছ’বছরে তিন তিন বার ইন্টারভিউ হয়েছে। কিন্তু একজনেরও নিয়োগ হয়নি।
ক্যানিং ১ ব্লকে অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা পদে নিয়োগের জন্য ২০১০ এবং ২০১২ সালে প্যানেল তৈরি হয়েও বাতিল হয়েছিল। ওই পদের জন্য ২০১৫ সালে শেষ বার লিখিত এবং ইন্টারভিউ হয়েছিল। কিন্তু নিয়োগ কমিটি তৈরি না হওয়ায় এখনও চূড়ান্ত প্যানেল তৈরি হয়নি। এরমধ্যেই সেই প্যানেলে নাম ঢোকানোর জন্য টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিং ১ ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে কয়েকশো সহায়িকার পদ দীর্ঘ দিন ধরেই ফাঁকা। বর্তমানে শূন্যপদের সংখ্যা প্রায় ১৭০। ২০১০ সালে ওই ব্লকে অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা পদের নিয়োগের জন্য পরীক্ষার পরে প্যানেল তৈরি হয়। কিন্তু ২০১১ সালে নতুন সরকার এসে অস্বচ্ছতার অভিযোগে পুরনো প্যানেল বাতিল করে দেয়। ফের নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে ২০১২ সালে লিখিত পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউ হয়। তৈরি হয় নতুন প্যানেল। কিন্তু বাম আমলের প্যানেলে নাম ছিল, নতুন প্যানেলে নাম নেই এমন কয়েকজন মামলা করায় ২০১২ সালের প্যানেলটি বাতিল হয়ে যায়। ২০১৫ সালে ফের পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। তবে এ বার এখনও চূড়ান্ত প্যানেল তৈরি হয়নি। চাকরিপ্রার্থী উমা মণ্ডল বারুই, রীতা প্রধান, তাপসী মণ্ডলদের ক্ষোভ, ‘‘তিন বার ইন্টারভিউ হয়েছে। কিন্তু নিয়োগ কেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বুঝতে পারছি না। আদৌ নিয়োগ হবে কি না সেটাই ধন্দ।’’
চূড়ান্ত প্যানেল তৈরি না হলেও ইতিমধ্যেই টাকার বিনিময়ে চাকরির প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এলাকার কয়েকজন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ, ‘‘অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা পদে নিয়োগের জন্য ২০১৫ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। পরে স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতা জানান, ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দিলে চাকরি হবে। টাকা না দিলে চাকরি হবে না।’’
যদিও টাকা চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্যানিং ১ ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের চেয়ারম্যান তথা ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘চাকরি প্রার্থীদের থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। আইনি জটিলতার কারণে এত দিন নিয়োগ সম্ভব হয়নি।’’
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, সহায়িকা নিয়োগের জন্য প্রতিটি ব্লকে নিয়োগ কমিটি থাকে। কিন্তু ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরে ক্যানিং ১ ব্লকে সেই নিয়োগ কমিটি তৈরিই হয়নি। তাই নতুন প্যানেল তৈরি করা যাচ্ছে না।
মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, ‘‘ওই পদে নিয়োগের জন্য ২০১৫ সালে ইন্টারভিউ হয়েছিল। কিন্তু নিয়োগ কমিটি তৈরি না হওয়ায় চূড়ান্ত প্যানেলের অনুমোদন করা যাচ্ছে না। আশা করছি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy