বন্যা ঠেকাতে নদীর পলি কাটার জন্য বসিরহাট থেকে স্বরূপনগর পর্যন্ত ইছামতী নদীতে মঙ্গলবার স্পিড বোটে পরিদর্শন করলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী। সঙ্গে ছিলেন সরকারি আধিকারিকেরা।
ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছর বর্ষায় স্বরূপনগর-সহ বসিরহাটের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ইছামতী নদীর কূল ছাপিয়ে বাঁধের পাশে থাকা একাধিক গ্রাম নোনা জলে প্লাবিত হয়। এই পরিস্থিতিতে বর্ষায় নদী তীরের বাসিন্দাদের কয়েক মাস জলবন্দি থাকতে হয়। নোনা জলে ফসলের খেত ডুবে যাওয়ায় বড় রকম ক্ষতির মুখে পড়তে হয় মানুষকে। স্বপন মণ্ডল, রহিম গাজিরা বলেন, ‘‘বহু বছর ধরে নদী সংস্কার না হওয়ায় পলি পড়ে নাব্যতা কমে গিয়ে এই পরিস্থিতি। প্রতি বছর কৃষিজমিতে নোনা জল ঢোকে।’’
গত বর্ষার সময়ে সভাধিপতি এলাকা পরিদর্শনে এসে দুর্গত মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বর্ষা শেষ হলেই রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে ইছামতী নদীর পূর্ণ সংস্কার করা হবে। সেই মতো এ দিন দুপুরে নারায়ণ বসিরহাট বোটঘাট এলাকা থেকে ইঞ্জিনিয়ার কিংশুক মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে স্পিড বোটে চড়ে নদীপথে ইছামতী পরিদর্শন করেন। নদীর পলি মাটি কী ভাবে তোলা হবে, তা কী ভাবে টেন্ডার দেওয়া হবে— সে সব নিয়ে আলোচনা হয়।
নারায়ণ বলেন, ‘‘প্রতি বছর নদী সংস্কার হয়। সংস্কার করা পলি নদীর দুই ধারে রাখা হয়। সেই পলি আবার বর্ষায় ধুয়ে নদীতে মিশে যায়। নদীর পলি তুলতে ঠিকাদার সংস্থাকে টেন্ডার দেওয়া হবে। এর ফলে এক দিকে যেমন নদী সংস্কার করা হবে, তেমনই সরকারের রাজস্ব বাড়বে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)