E-Paper

ফাটল বেড়ে ফেরিঘাটে ধস

বুধবার সকাল থেকে ফের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতির কাজ শুরু হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:০৫
জলস্তর বাড়ায় ডুবে গিয়েছে নতুন জেটি।

জলস্তর বাড়ায় ডুবে গিয়েছে নতুন জেটি। ছবি: সৈকত ঘোষ।

ডায়মন্ড হারবারের নুরপুর ফেরিঘাট সংলগ্ন নদীবাঁধে মঙ্গলবারই দেখা গিয়েছিল ফাটল। তড়িঘড়ি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও শেষরক্ষা হল না। রাতে নদীর জলস্তর বাড়তেই ফাটল বরাবর বাঁধের বড় অংশ ধসে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নবনির্মিত জেটি, টিকিট ঘর এবং বাঁধ লাগোয়া তিনটি দোকান।

বুধবার সকাল থেকে ফের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতির কাজ শুরু হয়। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের জন্য সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বিকেলে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তিনি বলেন, ‘‘জাহাজগুলি সেন্ট্রাল চ্যানেলের বদলে নদীবাঁধের খুব কাছ দিয়ে চলাচল করে। আমরা বিষয়টি পরিবহণ দফতরকে তদন্ত করে দেখতে বলেছি। যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে বাঁধ সারাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, একটি বিদেশি জাহাজ ওই জেটিতে ধাক্কা মেরেছিল।’’

প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার সকালেই বাঁধ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়। নুরপুর থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের গেঁওখালি এবং হাওড়ার গাদিয়াড়া পর্যন্ত লঞ্চ ও ভেসেল চলাচল করে। ভাঙনের কারণে নতুন জেটি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামী দশদিন পোর্ট ট্রাস্টের জেটি থেকেই যাত্রিবাহী লঞ্চ ও ভেসেল চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সেচ দফতরের দাবি, কিছুদিন আগে একটি বিদেশি জাহাজ ফেরিঘাট সংলগ্ন বাঁধে ধাক্কা মারায় ভেতরের মাটি দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তার উপরে টানা বৃষ্টি ও পূর্ণিমার কটালের জেরে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ফাটল ধসের আকার নেয়। সেচ দফতরের এক আধিকারিক জানান, দ্রুত মেরামতির কাজ চলছে।

অন্য দিকে, গোসাবার পাখিরালয় এলাকায়ও মঙ্গলবার রাতে গোমর নদীর বাঁধে প্রায় ৬৫ মিটার অংশে ধস নামে। বুধবার সকাল থেকে মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। দফতরের আধিকারিক শুভদীপ দালাল বলেন, “যেটুকু জায়গায় ধস নেমেছে তা মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। আপাতত গ্রামে জল ঢোকার আশঙ্কা নেই।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Nurpur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy