এ বার প্রথম নয়। বজবজের শাসক দলের যুব নেতা কৃষ্ণপদ মণ্ডল ২০২১ সালেও একই ভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন বলে তাঁর দাদা তপন জানিয়েছেন। তপনের দাবি, “তিন বছর আগে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই ভাইকে গুলি করা হয়। এ বারও সেটাই হয়েছে।” এ বার কৃষ্ণপদ গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রীতম ভোড়ে নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার বজবজ ২ নম্বর ব্লকের নোদাখালি থানায় এলাকায় ডোঙারিয়া স্কুল মোড়ে শাসক দলের যুব নেতা কৃষ্ণপদ মণ্ডল গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। ওই দিন সকালে মোটরসাইকেলে বাজার করে ফেরার পথে আর একটি মোটরসাইকেল থেকে তিন জন দুষ্কৃতী তাঁকে গুলি করে বলে অভিযোগ। একবালপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে দেহ থেকে গুলি বের করার পরে কৃষ্ণপদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এখনও তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, কৃষ্ণপদ ঠিকাদারি ব্যবসা করেন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না ঠিকাদারি ব্যবসার জেরে কোনও ব্যক্তিগত আক্রোশ, ঠিক কী কারণে তাকে গুলি করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার কর্তাদের দাবি, “ধৃত ব্যক্তির জড়িত থাকার একাধিক সূত্র মিলেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ আনা হচ্ছে না। ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।"
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সরকারি প্রকল্পের কয়েকটি ঠিকাদারি কাজ নিয়ে কৃষ্ণপদর সঙ্গে অন্য গোষ্ঠীর কয়ে জন নেতা ও কর্মীর কোন্দল শুরু হয়েছিল। নানা ভাবে কৃষ্ণপদকে প্রাণে মেরে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে নানা তথ্য সূত্র উঠে এসেছে। তদন্তকারীদের কথায়, ওই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত রয়েছে বলে সূত্র পাওয়া গিয়েছে। প্রীতমকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে ওই ঘটনার শিকড়ে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
প্রীতমকে সোনারপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। প্রীতম আমতলা এলাকায় তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে হামলাকারীদের লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করেছিল। তবে শনিবার রাতেই তার আত্মীয়দের বাড়ি থেকে ওই দুষ্কৃতীরা চম্পট দিয়েছে বলে জেরায় জানিয়েছে প্রীতম।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)