ধার নিয়ে টাকা শোধ করতে না পারায় এক যুবককে লোহার শিকলে বেঁধে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পরে স্থানীয় মানুষজনের মধ্যস্থতায় উদ্ধার পায় ওই যুবক।
শনিবার সকালে হিঙ্গলগঞ্জের কেওড়াখালি গ্রামের ঘটনা। একটি ইটভাটার ঘরে কোমরে শিকল বেঁধে আটকে রাখা হয়েছিল কামাল গাজি নামে হাসনাবাদের ট্যাংরা গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবককে। পুলিশ জানায়, কয়েক মাস আগে স্থানীয় একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করবে বলে সুরেশ কুমার নামক এক ঠিকাদারের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা দাদন নিয়েছিলেন কালাম। অভিযোগ, টাকা নিয়ে কাজ না করে তিনি বেপাত্তা হয়ে যান। শুক্রবার রাতে তাঁকে হিঙ্গলগঞ্জে দেখা যায়। ঠিকাদার টাকা ফেরত চায়। টাকা দিতে না পারায় তাঁকে ধরে স্থানীয় একটি ইটভাটার ঘরে কোমরে শিকল দিয়ে আটকে রাখা হয়।
সুরেশ বলে, ‘‘কাজও করেনি। টাকাও ফিরত দিচ্ছে না। তাই ওকে আটকে রাখা হয়। পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় শিকল পরানো হয়েছিল।’’
কালামের দাবি, দাদন নিয়েছিলেন ৪ হাজার টাকা। কাজ করতে না পারায় মাসে মাসে পাঁচশো করে টাকা শোধ করব বলেছিলাম। কিন্তু সুরেশ সে কথায় কান না দিয়ে আমাকে মারধর করে বেঁধে রেখেছিল।’’
পুলিশ জানিয়েছে, কোনও মানুষকে এ ভাবে বেঁধে রাখাটা বেআইনি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।