বিবাহিত মেয়ে এবং দু’বছরের নাতনিকে জামাই রাজস্থান নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে বলে পুলিশে অভিযোগ করেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর গোপালনগরের জনৈক তপন পাল (নাম পরিবর্তিত)। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না, এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও দায়ের করেন তিনি। শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী সিআইডি-কে নির্দেশ দিয়েছেন, মা ও শিশুকে খুঁজে বার করতে। বিচারপতির আরও নির্দেশ। চার সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট দাখিল করতে হবে আদালতে।
আইনজীবী উদয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় জানান, ২০১২ সালের ২৯ নভেম্বর মুকুল বিশ্বাসের সঙ্গে বিয়ে হয় তপনবাবুর মেয়ের। বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য বারবার মেয়ের উপর তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোক অত্যাচার চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। মহিলার বাবার আরও অভিযোগ, একদিন জামাই বাড়ি এসে হুমকি দেয়, টাকা না দিলে স্ত্রী আর মেয়েকে বিক্রি করে দেবে সে। হঠাৎ এই বছরের এপ্রিল মাসে তপনবাবুরা জানতে পারেন, তাঁর মেয়েকে নিয়ে রাজস্থান গেছে জামাই। আর এর কয়েক দিন পরেই মুকুল ফোন করে তপনবাবুকে জানান, তাঁর স্ত্রীকে পাওয়া যাচ্ছে না। সে অন্য একজনের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে। এই খবর শুনে রাজস্থানে যান তপনবাবুরা। সেখানকার থানায় বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে মুকুল তাঁদের বাধা দেন বলেও অভিযোগ।
আইনজীবী উদয়শঙ্করবাবু আরও জানান, রাজস্থান থেকে ফিরে শেষ পর্যন্ত তাঁরা গোপালনগর থানায় অভিযোগ জানান। একই সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপারকেও বিষয়টি জানান। কিন্তু পুলিশ কোনও তদন্ত করেনি।
তপনবাবুর আইনজীবী উদয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় ও স্নিগ্ধা সাহার অভিযোগ, পুলিশকে বারবার বলা সত্ত্বেও ওই গৃহবধূ এবং তাঁর শিশুকন্যাকে খোঁজার ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই শেষপর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy