হালখাতা করতে গিয়ে মিলেছিল রসগোল্লা। সেই রসগোল্লা খেয়ে রবিবার অসুস্থ হলেন সাগরের তিনটি গ্রামের শতাধিক মানুষ।
পুলিশ জানিয়েছে, সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে অনেককে। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকদের একটি দল মহেন্দ্রগঞ্জ, নগেন্দ্রগঞ্জ এবং ধ্বসপাড়া- সুমতিনগর ২ পঞ্চায়েতের উত্তর হারাধনপুরে গিয়ে চিকিৎসা করেন। স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। ইতিমধ্যেই অনেককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। খাবারের নমুনা পাঠানো হয়েছে কলকাতায়।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মহেন্দ্রগঞ্জ এলাকার পশুচিকিৎসক দীপক গুড়িয়ার ওষুধের দোকানে হালখাতা ছিল। সেখান থেকে প্রায় আড়াইশো প্যাকেট মিষ্টি বিলি করা হয়। রবিবার সকালেই বেশির ভাগ মানুষ প্যাকেটের মিষ্টি খান। তারপর থেকেই অসুস্থ হতে শুরু করেন অনেকে। মিষ্টির দোকানের মালিক জহর সেনাপতি পলাতক। এলাকায় দীপকবাবুরও খোঁজ মিলছে না। দু’জনেই গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। মহেন্দ্রগঞ্জের প্রভঞ্জন মণ্ডলের কথায়, ‘‘পরিবারের সাতজন খেয়েছিল। আমার চার বছরের বাচ্চাও খেয়েছিল ওই মিষ্টি। তারপরে বমি-পায়খানা শুরু হয়। হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।’’ উত্তর হারাধনপুরের বাসিন্দা দেবজিৎ মল্লিকের আট বছরের ভাইপোও মিষ্টি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সে-ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা, উত্তর সাগরের জেলা পরিষদ সদস্য সন্দীপ মণ্ডল। ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, বাসি খাবার থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy