Advertisement
E-Paper

স্কুলে যাবে, বলে পলাশ 

রিপনকে পলাশ বলেছিল, তপতী তাকে নিজের কলেজ দেখতে ডেকেছিল। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন পলাশ স্কুলে যায়নি। চাঁদপাড়া স্টেশনের কাছে একটি বাড়িতে সাইকেল রেখে ট্রেনে গিয়েছিল গোবরডাঙা। 

সীমান্ত মৈত্র

শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৩২
তখন-সুসময়: পলাশ ও তপতী

তখন-সুসময়: পলাশ ও তপতী

একটা ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরোয় পলাশ। মাকে বলে, ‘‘স্কুলে যাচ্ছি।’’

আর ফেরেনি। খোঁজও মেলেনি। দুপুরের দিকে কাকা নিমাইয়ের মোবাইলে রিপন বিশ্বাস নামে এক যুবক পলাশের কাকা কার্তিককে ফোনে জানান, পলাশ অসুস্থ। সে বলেছে, তার বান্ধবী তপতী বিয়ারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে দিয়েছে। গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে আসতে বলা হয় আত্মীয়দের।

রিপনকে পলাশ বলেছিল, তপতী তাকে নিজের কলেজ দেখতে ডেকেছিল। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন পলাশ স্কুলে যায়নি। চাঁদপাড়া স্টেশনের কাছে একটি বাড়িতে সাইকেল রেখে ট্রেনে গিয়েছিল গোবরডাঙা।

সেখানে তপতীর সঙ্গে তার দেখা হয়৷। তপতী তাকে নিয়ে জামদানির দিকে যায়। ফোনে তপতী নিজের দাদা গৌরবকেও ডাকে।

জামদানিতে মাঠের মধ্যে গৌরব পলাশের গলা চেপে ধরে। আরও দুই যুবক তার হাত ধরে রেখেছিল। হলুদ চুড়িদার পরা তপতী তার মুখে বিয়ারের মধ্যে কীটনাশক মিশিয়ে পলাশের মুখে ঢেলে দেয়।

সেখান থেকে কোনও মতে পালায় পলাশ। সাধন নামে কাছেই একজনের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। পরে সেখানে আসেন রিপন। রিপনই পলাশকে গোবরডাঙা হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর দেন পলাশের বাড়িতেও।

কার্তিকের দাবি, ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি একটি মন্দিরে পলাশ-তপতী মালাবদলও করেছিল। তপতীর জন্য নানা সময়ে প্রচুর টাকাও খরচ করেছিল পলাশ। কার্তিকের কথায়, ‘‘ভাইপোকে তপতীর সঙ্গে সম্পর্ক না রাখতে বহু বার বুঝিয়েছিলাম। সব ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু তপতী ফোন করলে ও নিজেকে সামলাতে পারত না।’’

Death School Murder
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy