E-Paper

বুথস্তরে সদস্য পেতে হিমসিম বিজেপি নেতৃত্বের

বিজেপি সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের তরফে বাংলার প্রতিটি বুথে ৩১ জন সদস্য নিয়ে কমিটি তৈরির কথা বলা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজ করবে এই কমিটি।

ঋষি চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:৩৫
বুথস্তরে সংগঠন বৃদ্ধি করতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিজেপিকে।

বুথস্তরে সংগঠন বৃদ্ধি করতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিজেপিকে। প্রতীকী চিত্র।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বুথস্তরে শক্তি বৃদ্ধির জন্য রাজ্য নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই মতো এলাকায় এলাকায় কাজ শুরু করে দিয়েছে দল। দেগঙ্গা, দত্তপুকুর, আমডাঙা ব্লকে ইতিমধ্যেই সংগঠন বাড়ানোর কাজ শুরু করেছে বিজেপি। কিন্তু দলীয় সূত্রের খবর, বুথস্তরে সংগঠন বৃদ্ধি করতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। নতুন সদস্য খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে মহিলারা সংগঠনের কাজে যোগ দিতে রাজি হচ্ছেন না। পঞ্চায়েত এলাকার পুরনো কর্মীদের মধ্যেও দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় নেতৃত্বের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় বর্তমানে দলের সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়েছে।

বিজেপি সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের তরফে বাংলার প্রতিটি বুথে ৩১ জন সদস্য নিয়ে কমিটি তৈরির কথা বলা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজ করবে এই কমিটি। পরবর্তীকালে লোকসভা নির্বাচনেও দায়িত্বে থাকবেন তাঁরা। কমিটিতে ১১ জন করে জেলার নেতা থাকবেন। এ ছাড়াও, রাখতে হবে সাধারণ সদস্যদের। তার মধ্যে মহিলা সদস্য ও নতুন মুখদের প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু বিজেপি সূত্রের দাবি, এগারো জন নেতা বাদে কমিটির বাকি ২০ জনকে খুঁজে পেতে হিমসিম খেতে হচ্ছে অনেক জায়গাতেই।

বারাসত সাংগঠনিক জেলার এক নেতার কথায়, “পঞ্চায়েত এলাকায় কুড়ি জন দূরের কথা, নতুন করে পাঁচ জনকে খুঁজে পাচ্ছি না। বিধানসভা নির্বাচনের পরে হিংসার শিকার হয়েছেন বহু কর্মী। অনেকেই দল ছেড়েছেন। যাঁরা বসে গিয়েছিলেন, তাঁদের দিয়েই কিছু জায়গায় কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। দত্তপুকুর, দেগঙ্গা ও আমডাঙা ব্লকে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় নতুন লোকজন সংগঠনে আসতে চাইছেন না। এমনকী, পুরনোরাও দলীয় কাজে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন অনেকে।”

বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অরিন্দম দে বলেন, “কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে ৫০ শতাংশ বুথে কমিটি তৈরি সফল হয়েছে। বাকি বুথের মানুষ ভয় পাচ্ছেন বিজেপির সংগঠনে যোগ দিতে। বিধানসভা ভোটের পর থেকে এলাকায় হুমকি-শাসানি এখনও চলছে। মহিলা সদস্য পেতে বেগ পেতে হচ্ছে। এটা অস্বীকার করার যায়গা নেই।” বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, “এটা ঠিক যে বেশ কিছু বুথে নতুন সদস্য সংগঠনে আসতে চাইছেন না। তৃণমূলের হুমকি ও মামলার ভয়ে সক্রিয় হয়ে দলের কাজ করতে রাজি হচ্ছেন না মহিলারাও। তবে বোঝানোর প্রক্রিয়া চলছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Barasat BJP Panchayat Election

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy