দুই যুবককে চোর সন্দেহে গণপিটুনির অভিযোগে এক পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে হাবরা থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় লক্ষ্মীপুর এলাকায় ওই সদস্যেকে তাঁর বাড়ি থেকেই ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম মিলন মিত্র। তিনি স্থানীয় বেড়গুম ১ পঞ্চায়েতের নির্দল সদস্য। একই সঙ্গে গণপিটুনিতে আহত দুই যুবককেও চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের নাম, নিতাই দাস ও সুজন দাস বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাদেরও বাড়ি লক্ষ্মীপুর এলাকায়।
জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গণপিটুনি বন্ধে আমরা সার্বিক ভাবে সচেতনতা বাড়াতে চেষ্টা করছি। কোথাও বেআইনি কাজ হলে যেন দ্রুত নিকটবর্তী থানায় খবর দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরেও যদি কোথাও কেউ আইন হাতে তুলে নেন তাহলে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে। যেমনটা করা হয়েছে হাবরায়।’’
মিলন মিত্র।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ জুলাই বিকেলে পঞ্চায়েত সদস্য মিলন মিত্রের বাড়ি থেকে দরজার দুটি গ্রিল চুরি হয়ে যায়। অভিযোগ, নিতাই এবং সুজন সেই গ্রিল চুরি করে বিক্রি করে দেয়। যে দোকানে গ্রিল বিক্রি করা হয়েছিল সেখান থেকে ওই পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে খবর যায়। কিন্তু তিনি বিষয়টি পুলিশে না জানিয়ে কয়েকজনকে নিয়ে অভিযুক্ত দুই যুবককে মারধর শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত দুই যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তারপরেই আলাদা ভাবে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি গণপিটুনি বন্ধ করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে তৎপর হতে নির্দেশ দিয়েছেন। তারপর পুলিশ মানুষকে সচেতন করতে নানা পদক্ষেপ করছে। হাবরা থানার পক্ষ থেকেও গণপিটুনি বন্ধের জন্য মানুষকে সচেতন করতে প্রচার চলছে। হাবরা থানা এলাকার পঞ্চায়েত, পুরসভা, বিডিও অফিস ছাড়াও বাজার এলাকায় গণপিটুনি বন্ধের আবেদন জানিয়ে ব্যানার এবং পোস্টার লাগানো হয়েছে। কিন্তু তারপরেও হাবরা থেকেই গণপিটুনির অভিযোগ আসায় পুলিশ কড়া পদক্ষেপ নিতে দেরি করেনি।