নতুন জামা-শাড়ির সঙ্গে হাতে ময়ূরের দু’তিনটি পেখম। বনগাঁ শহরে এ বার পুজোতে প্রতিমা দেখতে বেরিয়ে কচিকাঁচা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সকলের হাতেই দেখা গেল ওই পেখম। শহরে বেআইনি ভাবে দেদার বিক্রি হল পেখম। একটির দাম ছিল ১০টাকা। ২০ টাকায় মিলেছে তিনটি।
নবমীর রাতে এ বার শহরের ভীড় হয়েছিল সবথেকে বেশি। ওই দিন সব থেকে বেশি চোখে পড়েছে পেখম। মহিলারাও হাতে পেখম নিয়ে ঘুরছেন। অল্প বয়সী যুবক-যুবতীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, পুজোর কাউকে প্রেম নিবেদন করতে তাঁরা পেখম ব্যবহার করেছেন। তরুণ-তরুণী একে অপরকে পেখম উপহার দিয়ে প্রেম নিবেদন করছে এমন দৃশ্যও চোখে পড়েছে।
দম্পতিদের হাতেও পেখম দেখা দিয়েছে। তাঁদের হাতে পেখম কেন? এক মহিলার কথায়, ‘‘পেখম দেখতে সুন্দর। কখনও হাত দিয়ে দেখার সুযোগ হয়নি। তাই কিনেছি।’’
বয়স্ক বহু মানুষকে পেখম নিয়ে মণ্ডপের মধ্যে ঢুকে প্রতিমার পায়ে রেখে দিচ্ছেন। এক বৃদ্ধের কথায়, ‘‘কিনছি বাড়িতে গিয়ে ঠাকুর ঘরে প্রতিমার পায়ে রেখে দেব।’’
পেখম পালক বিক্রি বেআইনি। জেনেও তা বিক্রি করছিলেন এক যুবক। তাঁর কথায়, ‘‘পুজোতে পেখমের পালকের চাহিদা ছিল খুব। কিছু টাকা ঘরে তুলতেই বিক্রি করছি।’’ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বনধিকারী মানিকলাল সরকার বলেন, ‘‘ময়ূরের পেখম বা পালক বিক্রি বেআইনি কাজ। কোথাও খরব পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
কিন্তু স্থানীয় মানুষের বলছেন, ‘‘ময়ূরের পেখম বেশ কিছুদিন ধরেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রকাশ্য বিক্রি হচ্ছে। বন দফতরের পক্ষ থেকে ওই বিষয়ে নজরদারিও দেখা যায় না।’’
বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, কোথা থেকে পেখম আনা হচ্ছে সেই বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। তবে ময়ূরের পেখম নির্দিষ্ট সময়ের পরে কিছু ঝরে পড়ে। সেই ঝরে পড়া পেখম সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য আনা হতে পারে বলে মনে করছেন বন দফতরের কর্তারা।