Advertisement
E-Paper

ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার

ডায়মন্ড হারবার ২ ব্লকের বলরামপুর খালের উপরে প্রায় একশো ফুট চওড়া জরাজীর্ণ কাঠের সাঁকো পারাপার হতে গিয়ে যে কোনও দিন বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:২৭
ঝুঁকি নিয়েই চলছে পারাপার

ঝুঁকি নিয়েই চলছে পারাপার

মাস কয়েক আগে সাঁকো পারাপারের সময়ে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে দু’জন খালে পড়েন। অল্পবিস্ত জখম হয়েছিলেন। তারপর থেকে কোনও মতে গ্রামবাসীরা তাপ্পি মেরে সারাই করে পারাপার করছেন সাঁকো।

ডায়মন্ড হারবার ২ ব্লকের বলরামপুর খালের উপরে প্রায় একশো ফুট চওড়া জরাজীর্ণ কাঠের সাঁকো পারাপার হতে গিয়ে যে কোনও দিন বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত থেকে প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার ২ ব্লকের ভাদুড়া হরিদাস পঞ্চায়েতের তারাগঞ্জ গ্রামের বলরামপুর খালের উপরে কাঠের সাঁকোটি বহু বছর আগে তৈরি হয়। তারপর থেকে পাকাপাকি ভাবে সংস্কার হয়নি। হুগলি নদীর সংযোগকারী ওই খালে জোয়ার-ভাটা খেলে। বর্ষায় সাঁকো মাঝে মধ্যেই ডুবে থাকে। নোনা জলে দিনের পর দিন ডুবে থাকায় কাঠের সাঁকো জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে।

মাস কয়েক আগে গ্রামের এক অনুষ্ঠানে দল বেঁধে সাঁকো পার হওয়ার সময়ে হুড়মুড়িয়ে করে ভেঙে পড়ে সেটি। জখম হয়েছিলেন কয়েক জন। তারপরে ভাঙা সাঁকো জোড়াতালি দেওয়া হয়।

সাঁকোর উপরে কাঠের পাটাতন খুলে পড়েছে। সাঁকোয় উঠলে দুলে ওঠে। পারাপারের সময়ে অসতর্ক হলেই পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা। আলোর ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যার পরে কার্যত সাঁকো পারাপারের সাহস পান না কেউ।

ওই সাঁকো দিয়ে, ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতাল থেকে আরম্ভ করে ব্লক অফিস, থানা ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজে যাতায়াত করেন অনেকে। প্রাথমিক বিদ্যালয় ও অন্যান্য স্কুলের ছেলেমেয়েরা পারপার করে। হাটবাজারে যান অনেকে। বিপজ্জনক সাঁকো নিয়ে দুশ্চিন্তায় সকলেই। বাসিন্দাদের অভিযোগ, মুমূর্ষ রোগীকে নিয়ে পারাপারেই করা যায় না। সে ক্ষেত্রে অনেকটা ঘুরপথে হাসপাতালে যেতে হয়। একেবারে ছোটদের কোলে তুলে পার করানো হয়। বয়স্করা কারও হাত না ধরে পেরোতে সাহস পান না।

এলাকার বাসিন্দা কাসেম মোল্লা, তপন হালদারদের অভিযোগ, কংক্রিটের সাঁকোর দাবিতে পঞ্চায়েত থেকে প্রশাসনকে একাধিক বার জানানো হয়েছে। কিন্তু কেউ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

এ বিষয়ে ডায়মন্ড হারবার ২ বিডিও সুদীপ অধিকারী বলেন, ‘‘ওই সাঁকোর বিষয়ে জানার পরে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। সাঁকোটি সংস্কারের দরকার রয়েছে। সেচ দফতর বিষয়টি জানে।’’ সেচ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিজস্ব চিত্র

Diamond Harbour
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy