E-Paper

মেলায় আসার পথে গাড়ি পেতে দুর্ভোগ

স্টেশন থেকে ওই ঘাটে আসার সরকারি কোনও ব্যবস্থা এ বার রাখা হয়নি। সাধারণত, ওই পথে টোটো চলে। কিন্তু এ দিন হাতেগোনা কিছু টোটো মিলেছে বলে ক্ষোভ পুণ্যার্থীদের।

সমরেশ মণ্ডল

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:২৮
কপিল মুনির আশ্রমে ভক্তদের ভিড়।

কপিল মুনির আশ্রমে ভক্তদের ভিড়। —ফাইল চিত্র।

‘পুণ্যস্নানের’ আগে সোমবার বিকেল থেকেই পুণ্যার্থীদের ভিড় উপচে পড়ল সাগরদ্বীপে। কিন্তু কাকদ্বীপ স্টেশনে নেমে যাঁরা এলেন, তাঁদের অনেকেই লট-৮ ঘাটে পৌঁছনোর মতো পর্যাপ্ত গাড়ি না পেয়ে হয়রান হয়েছেন বলে অভিযোগ তুললেন।

স্টেশন থেকে ওই ঘাটে আসার সরকারি কোনও ব্যবস্থা এ বার রাখা হয়নি। সাধারণত, ওই পথে টোটো চলে। কিন্তু এ দিন হাতেগোনা কিছু টোটো মিলেছে বলে ক্ষোভ পুণ্যার্থীদের। ফলে, যাঁরা সেই টোটোও পাননি, তাঁদের হেঁটেই ঘাটে আসতে হয়। তাঁদের মধ্যে বিহার থেকে আসা রাজেশ যাদব বলেন, ‘‘আমরা বিকেলে যখন কাকদ্বীপ স্টেশনে এসে পৌঁছলাম, তখন লট-৮ ঘাটে যাওয়ার কোনও গাড়ি ছিল না। বাধ্য হয়ে আমরা ১৫ জনের দল হেঁটে পৌঁছই ঘাটে।’’

কেন এই ‘অব্যবস্থা’?

অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সৌমেন পাল বলেন, ‘‘কাকদ্বীপ স্টেশন থেকে লট-৮ ঘাট পর্যন্ত পুণ্যার্থীদের আসার জন্য আলাদা কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। টোটোগুলি থাকার কথা ছিল স্টেশন চত্বরে। কিন্তু সেগুলি এ দিক-ও দিক থাকায় সমস্যা হয়েছে। প্রশাসন ও বিধায়ককে বলেছি টোটোচালকদের সংগঠনগুলিকে বলে দেওয়ার জন্য। আশা করি, আর সমস্যা হবে না।’’

পূর্ণিমার কটালের ক্ষয়ক্ষতি রুখতে এ দিন সাগরের তিন নম্বর ঘাটে বালির বস্তা ফেলে রাস্তা তৈরি এবং ঘাট মেরামতির কাজ চলেছে। জল বাড়তে পারে বলে মনে করছে সেচ দফতর। প্রশাসন জানিয়েছে, সোমবার রাতে (১০টা নাগাদ কটালের সময়) কিছু সমস্যা হলে দ্রুত সমাধান হবে। এ দিন মন্দির কমিটির সঙ্গে জেলা প্রশাসন ও সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার জরুরি বৈঠক হয়। ‘পুণ্যস্নান’ উপলক্ষে আজ ভিড় অনেক বাড়বে বলে মনে করছে প্রশাসন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

gangasagar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy